মঙ্গলবার সকালে রীতিমতো টানটান উত্তেজনার সাক্ষী থাকল হরিশ মুখার্জি রোড।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের দল আসার আগে ভাইপোর বাড়ি ‘শান্তিনিকেতনে’ এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ মিনিটের মতো সেখানে ছিলেন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার স্রেফ কয়েক মিনিটের মধ্যেই অভিষেকের বাড়িতে হাজির হল সিবিআই।
রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই আসবে কিনা, তা নিয়ে সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল। সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ‘শান্তিনিকেতনে’-এ ঢোকেন কয়েকজন আইনজীবী। তাঁরা সম্ভবত রুজিরার আইনজীবী। কিছুক্ষণ পর নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের একটি দল রওনা দেয়। তারইমধ্যে আচমকা সকাল ১১ টা ২৩ মিনিট নাগাদ অভিষেকের বাড়িতে হাজির হন মমতা। বাড়ির মধ্যে ঢুকে যান। মিনিট দশেক বাড়ির ভিতরে মতো ছিলেন। ঠিক ১১ টা ৩৩ মিনিটে অভিষেকের মেয়ের হাত ধরে বেরিয়ে আসেন মমতা। তারপর নিজের গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। আর মমতা বেরনোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই অভিষেকের বাড়িতে চলে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দলে আটজন আছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন আইনজীবী। রুজিরার বয়ানের ভিডিয়োগ্রাফি করা হতে পারে। পাশাপাশি ব্যাঙ্ককের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয় এবং লেনদেনের বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
তবে মমতার সংক্ষিপ্ত সফর নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে। আচমকা মমতাকে আসতে দেখে অনেকেই কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআইয়ের দলের আগমনের স্মৃতি উসকে ওঠে। সেইবার ধরনায় বসেছিলেন মমতা। কিন্তু এবার সেরকম কিছু হয়নি। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো হিসেবে যাননি মমতা। নেহাতই একেবারেই পরিবারের সদস্য হিসেবে যান। অভিষেক এবং রুজিরার পাশে থাকার বার্তা দেন।