বাইজুস-এর তিরুবনন্তপুরম শাখার ১৭০ জনকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থার শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব। কেরল থেকে বাইজুস ব্যবসা গোটানোর পরিকল্পনা করেছিল। তাই ১৭০ জনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তবে এই ১৭০ জন আদালতের দ্বারস্থ হন। পাশাপাশি কেরলের শ্রমমন্ত্রী ভি শিবনকুট্টির কাছেও নালিশ জানান কর্মীরা। এরপরই বাইজুস ইউটার্ন নিয়ে জানিয়ে দিল, আপাতত খোলা থাকছে তিরুবন্তপুরমের অফিস। সেখানে ১৪০ জন কর্মী কাজ করবেন। বাকি ৩০ জনকে ছাঁটাই করা হতে পারে।
বাইজুস এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, ‘কেরালের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং বাইজুসের প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রনের মধ্যে বিশদ আলোচনার পরে সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমাদের আপাতত তিরুবনন্তপুরমের কেন্দ্রের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। ফলস্বরূপ, আমাদের ১৪০ জন অ্যাসোসিয়েট এই কেন্দ্র থেকে কাজ চালিয়ে যাবেন।’
উল্লেখ্য, কোভিডকাল থেকেই অনলাইন পড়াশোনা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই আবহে বড় ব্র্যান্ড হিসেবে সামনে আসে বাইজুস। তবে ব্যবসার স্বার্থে এবার শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলতে চাইছে বাইজুস। তার আগে সংস্থা নিজেদের লোকসানের রিমাণ কমাতে মরিয়া। এই আবহে দেশ জুড়ে আড়াই হাজার কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থা। বাইজুস তার বিভিন্ন সংস্থা যেমন - টপার, হোয়াইটহ্যাট জুনিয়র এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, অপারেশন, কনটেন্ট ও ডিজাইন টিমের মোট ২,৫০০ জন স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ছাঁটাই করছে। এই আবহে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে নিজেদের চাকরি আপাতত বাঁচাতে সক্ষম হলেন তিরুবনন্তপুরম অফিসে কর্মরত ১৪০ জন অ্যাসোসিয়েট। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষে বাইজুস-এর লোকসানের পরিমাণ ছিল ৪৫৮৮ কোটি টাকা। ২০২০ অর্থবর্ষের তুলনায় এই লোকসানের পরিমাণ ১৯ গুণ।