একুশে জুলাইয়ের (শহিদ দিবস) রাতে বিরাটিতে খুন হলেন এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। রাতে দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। একাধিক গুলি লাগে তাঁর শরীরে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকজনই গুলি চালিয়েছেন।
বুধবার রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলকর্মী শুভ্রজিত দত্ত ওরফে পিকুন (৩৮)। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বণিক মোড়ের কাছে পিছন থেকে শুভ্রজিতকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। কমপক্ষে চার থেকে গুলি করা হয়। একাধিক গুলি শুভ্রজিতের শরীরে লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে উত্তর দমদম পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শুভ্রজিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুটি বাইকে করে তিন-চারজন দুষ্কৃতী ওই তৃণমূলকর্মীকে অনুসরণ করছিল বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নিমতা থানার পুলিশ। এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়। রাতেই শুভ্রজিতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে থানায় একটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
প্রাথমিকভাবে খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতী বাবুলাল সিংয়ের নাম উঠে আসছে। স্থানীয়েদর দাবি, বুধবার দুপুরে বিরাটের ত্রাস হিসেবে পরিচিত বাবুলালের সঙ্গে কয়েকজন তৃণমূলকর্মীর বচসা হয়েছিল। তাকে মারধর করা হয়। আপাতত বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সকালের ঘটনার সঙ্গে শুভ্রজিতের খুনের কোনও যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করার কাজ চলছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন শুভ্রজিতকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন। স্থানীয় নেতা বিধান বিশ্বাস দাবি করেছেন, খুনের ঘটনায় বিজেপির যোগ আছে।