করোনাভাইরাসের দাপটে চার পুরসভার নির্বাচন স্থগিত হযে যেতে চলেছে। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে। আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ, চিকিৎসক থেকে অভিনেতা–অভিনেত্রীরা। এদিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের পর এবার করোনাভাইরাসের থাবা পড়ল দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে। প্রায় ১৭ জন চিকিৎসক কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে ১৭ জনের মধ্যে প্যাথোলজি বিভাগে ১১ জনই এই সংক্রমণের থাবায় আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকরা ছাড়াও আক্রান্ত হযেছেন বেশ কয়েকজন হাসপাতালের কর্মী। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৫৫ জন কোভিড আক্রান্ত। তাই এখানের চিকিৎসা ব্যবস্থা শিকেয় উঠেছে। এই অবস্থায় একাধিক ওয়ার্ড বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।
আজ, শনিবার থেকে ঝুঁকি এড়াতে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি হাসপাতালের আউটডোর বন্ধের সিন্ধান্ত নি্যেথে৷ আগামী সোমবার থেকে ১৫ দিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্যাথোলজি বিভাগ ছাড়াও আপাতত জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া বাকি সমস্ত অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে রোগীর পরিবারের সদস্যরা। কারণ কেউ আক্রান্ত হলে কোনও রোগে কোথায় যাবেন তাঁরা তা নিয়ে দিশেহারা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় কাউন্সিলর ও সবকটি শ্রমিক সংগঠনের ইউনিয়নের নেতৃত্বকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক ডেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।