মালদার সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা এখনও কাটল না। এর আগে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের জেরেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু শনিবার নমুনা সংগ্রহের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মেশিনের পাশে ফের মৃদু বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটলে মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটির তত্ত্ব থেকে সরে আসেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিন তদন্তকারী ফরেনসিক দল জানিয়েছে, আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এই মুহূর্তে আরও কিছু নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু কী কারণে বিস্ফোরণ? যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি অন্য কোনও কারণ? সেই নিয়ে ধোঁয়াশা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ হঠাৎ ওই কারখানায় আচমকা ক্ষতিগ্রস্ত মেশিনের পাশে মৃদু বিস্ফোরণ ঘটলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল ওই এলাকায়।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষ সরকার এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘তদন্ত চলছে। এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আপাতত মনে হচ্ছে না যে শুধু যন্ত্রের কোনও ত্রুটি থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখনও কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছি না। আরও পরীক্ষার প্রয়োজন।’ বোঝাই যাচ্ছে, সুজাপুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এখনই কোনও তত্ত্ব খাড়া করতে চান না ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, এই বিস্ফোরণের ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ নিয়ে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু অভিযোগ করেছেন, ‘এত বড় ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়িটাই ধসে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তার পরও এখনও পুলিশ–প্রশাসন নির্বিকার। পুলিশ কোনও মামলাও দায়ের করেনি।’
এর পাল্টা দিতে গিয়ে মোথাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ইতিমধ্যে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তাঁদের কাজ করছেন। পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। এবার কি খগেনবাবুকে নিজে মাঠে নেমে কাজ করতে চাইছেন?’