পূর্ব বর্ধমানে বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়ল পদ্ম শিবির। বুধবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শেষ হওয়া মাত্রই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে ধস নামে বিজেপিতে। আর পাল্লা ভারী হলে তৃণমূলের। কারণ, একইদিনে সেখানকার ১৪০০-র বেশি কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা ছিলেন। এদিন পূর্ব বর্ধমানে বিজেপি থেকে আগত কর্মীদের জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে বসিয়ে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানো হয়। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দলে যোগদান করানো হয়। দলীয় পতাকা তাঁদের হাতে তুলে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই যোগদান প্রসঙ্গে জামালপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, ‘চলতি বছর বিধানসভা ভোটের আগে জামালপুরের অনেক মানুষ বিজেপি নেতাদের কোথায় ওই দলে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটে ভরাডুবির পর সেই বিজেপি নেতারাই এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যস্ত। এমনকী দলের নেতাকর্মীদের দিকে তাঁরা ফিরেও তাকাচ্ছে না। এই ঘটনা চাক্ষুস করে অনেকে এখন বিজেপি ছাড়তে চাইছিলেন। দলে যোগদান করতে যাঁরা আবেদনও করেছিলেন, তাঁদেরই দলে নেওয়া হয়েছে।’
অন্য দিকে, ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক বলেন, ‘দলে আসতে চাওয়া বিজেপি কর্মীদের আবেদন প্রথমে জেলা ও তারপর রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয় যে, এত সংখ্যক বিজেপি কর্মীরা দলে যোগদান করতে চাইছেন। দলের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই এই ১,৪০০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগদান করানো হল।’
এর পালটা জামালপুরের বিজেপি আহ্বায়ক জিতেন ডকাল বলেন, ‘ইচ্ছা করে কেউ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যায়নি। তৃণমূলের সন্ত্রাসের হাত থেকে বাঁচতে ওই দলে যোগদান দিতে বাধ্য হয়েছেন কর্মীরা।’