বিজেপি–তে আসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক তৃণমূল সাংসদ। অর্জুন সিংয়ের পর এবার একই দাবি করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ছটপুজো উপলক্ষে শনিবার সকালে নৌকায় গঙ্গাভ্রমণের সময় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানান, ‘শুভেন্দু অধিকারী–সহ ৫ সাংসদ যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দিতে পারেন।’ তাঁর মতে, তাঁদের মধ্যে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়ও রয়েছেন। যদিও সৌগত রায় এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, এদিনই বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিজেপি–র বিরাট ‘যোগদান মেলা’ কর্মসূচিতে হুগলির তৃণমূল সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা সত্যিকারের নেতা, যাঁরা মানুষের কাজ করতে চান তাঁরা তৃণমূল থেকে বেরিয়ে আসছেন। শুভেন্দু অধিকারী বা যেই হোক না কেন সকলকে বিজেপি–তে আমরা স্বাগত জানাব। আপনারা দেখবেন আগামীদিনে আরও অনেক তৃণমূল সাংসদ বিজেপি–তে আসবে।’
এদিন লকেট দাবি করেন, ‘যে সব তৃণমূল নেতা বিজেপি–তে আসতে চাইছেন তাঁরা আমাদের দলের সঙ্গে হোয়াট্সঅ্যাপ কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। কারণ, তাঁরা জানেন, রাজ্যে সব ক্ষমতা ওই কালীঘাটের বাড়িতে। সব টাকা কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছোয়। যে সব সাংসদ, বিধায়করা কাজ করতে চান, তাঁদের আমাদের দলে স্বাগত জানাই।’
লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রত্যেকটি আসনে পদ্মফুল ফুটবে। ২০২১–এ মোদীময় হবে পূর্ব মেদিনীপুর।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত এদিন বলেন, ‘নন্দীগ্রাম ২০১১–য় আমাদের (তৃণমূল) বিধানসভায় এনেছিল। আবার ২০২১–এ নন্দীগ্রামের মানুষই নতুন সূর্য উদয় করিয়ে দেবেন।’ এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে ‘ভাল সংগঠক, দক্ষ সংগঠক’ বলে অভিহিত করেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত।
উল্লেখ্য, এদিন রামনগরে বিজেপি–র যোগদান মেলায় ২২ জন বাম নেতার পাশাপাশি কয়েকশো কর্মী–সমর্থক গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এদিন দলবদল করেন সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর নেতা শ্যামল মাইতি, জেলা কমিটির সদস্য অর্জুন মণ্ডল এবং আরএসপি রাজ্য কমিটির সদস্য অশ্বিনী জানা–সহ ২২ জন বাম নেতা ও কয়েকশো কর্মী–সমর্থক। যদিও জেলা বাম নেতৃত্বের দাবি, এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।