কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি কমার নাম নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে’প পরই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ঘাসফুল শিবিরের দুই হেভিওয়েটের দ্বন্দ্ব মেটাতে আসরে নেমেছিলন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ দুজনকেই ফোন করেন তিনি। পরে ‘চ্যাপ্টার ক্লোজড’ বলে শান্তি বার্তাও দিয়েছিলেন কুণাল। তবে থামার পাত্র নন কল্যাণ।
যুদ্ধবিরতির কোনও ইঙ্গিত না দিয়েই শ্রীজাতর কবিতার লাইন ধার করে কল্যাণ ফেসবুক পোস্ট করে লেখেন, ‘মানুষ থেকেই মানুষ আসে, বিরুদ্ধতার ভিড় বাড়ায়। আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়।’ এই কবিতা পড়ে অনেকেই রাজনৈতিক গন্ধ পেতে শুরু করেন। আর এরপরই এই কবিতার ‘জবাব’ দিতে কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘মনুষ্যরূপী এই মানবেরে চেনাটা কঠিন ভাই, অস্থি সমূহ স্থিত নিজস্থানে শিরদাঁড়াটাই নাই।’
এদিকে কুণাল ঘোষ ছাড়াও তৃণমূলের অন্দরে অভিষেকপন্থীরা কল্যাণকে বিঁধে চলেছেন। আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার লোকসভায় দলের চিফ হুইপের পদ থেকে কল্যাণের অপসারণ চেয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন, ‘শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়।’ কল্যাণকে আক্রমণ করেন মদনও।
এর আগে এই বিতর্কের ‘চ্যাপ্টার ক্লোজ’ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। তবে নতুন করে ফের বিতর্কের বই খুলছে ‘শিঁরদাঁড়া’র লড়াইয়ে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আলিপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেদিন তিনি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া ও আগামী দু‘মাস সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি ও মেলা পিছিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত৷ এরপরই অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মত’কে তোপ দেগে পরপর বিস্ফোরক মন্তব্য করে গিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে অভিষেকের সমালোচনা করায় হইচই পড়ে যায়৷ সেই বিতর্কে ঘৃতাহুতি ‘শিঁরদাঁড়ার লড়াই’।