রাজ্যে আসার কথা জগদীপ ধনখড়ের। আগে তিনি বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন। অধুনা তিনি দেশের উপ–রাষ্ট্রপতি। চলতি মাসেই কলকাতায় আসার কথা রয়েছে তাঁর। আর নবান্ন সূত্রে খবর, জগদীপ ধনখড়কে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং জ্যোৎস্না মাণ্ডিকে। আদিবাসী এই দুই নেত্রীকে সামনে রেখে বার্তা দিতে চায় রাজ্য সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তাঁদের উপর গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? গতকাল, বুধবার রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বিকেলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে যখন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে যান, তখন সেখানে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং শশী পাঁজা। তাঁরা দু’জনেই সিনিয়র মন্ত্রী। তাই তাঁদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার উপরাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে বীরবাহা–জ্যোৎস্নাকে পাঠানো হচ্ছে।
কেন ধনখড়কে স্বাগত জানাতে বীরবাহা–জ্যোৎস্নাকে পাঠাচ্ছে নবান্ন? সূত্রের খবর, অখিল কাণ্ডের পর এই পথেই ধনখড়কে সম্মান জানাতে চাইছে নবান্ন। আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এঁদের অসম্মান করেছিলেন। তাঁর জুতোর তলায় এঁরা থাকেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে ধনখড়কে স্বাগত জানাতে বীরবাহা–জ্যোৎস্নাকে পাঠিয়ে আদিবাসীদের পাশেই আছে রাজ্য সরকার বার্তা দিতে চাওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ঠিক কী তথ্য মিলেছে? আদিবাসী ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়েই জগদীপ ধনখড়কে স্বাগত জানাতে দুই জনজাতি প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক, বীরবাহা হাঁসদা সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী। ঝাড়গ্রামের এই বিধায়ক ও মন্ত্রী জনজাতি সমাজের কাছে জনপ্রিয়। দুই, জ্যোৎস্না মান্ডি হলেন বাঁকুড়ার নেত্রী। তিনি বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছেন। তাই এখন তাঁদের উপর ভরসা রাখছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর।