গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আর একমাসও বাকি নেই। এর আগে এখনও সৈকত পাড়ে বিজেপি বিরোধী জোট তরজা তুঙ্গে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার আগেই কংগ্রেস-তৃণমূল একে অপরের উপর বোমা বর্ষণ করে চলেছে। কংগ্রেস ভাঙিয়ে গোয়ায় নিজেদের সংগঠন গড়া তৃণমূল বারবারই কংগ্রেসকে ‘অক্ষম’ আখ্যা দিয়ে এসেছে। তবে বিজেপিকে হারাতে সেই ‘অক্ষম’ কংগ্রেসের হাত ধরার ইঙ্গিতও দিয়েছে বারংবার। কংগ্রেস আবার তৃণমূলের সঙ্গে ‘জোটে’ নারাজ। কংগ্রেসের বক্তব্য, ‘সমর্থন জানালে তা গ্রহণ করব।’ এই আবহে এবার মহুয়া মৈত্র গোয়ায় কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট আলোচনা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন।
গতকাল একটি সাক্ষআতকারে গোয়ায় কংগ্রেসের ইন-চার্জ পি চিদম্বরম সাফ জানান, গোয়ায় নির্বাচনী যুদ্ধ শুধুমাত্র বিজেপি আর কংগ্রেসের মধ্যে৷ সেখানে আম আদমি পার্টি বা তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দলের জায়গা নেই৷ আর যদি সেই দলগুলো এসে বিজেপির বিরুদ্ধে গোয়ায় লড়েও, তাতে নেতৃত্ব দেবে কংগ্রেস৷ তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র কয়েক মাস আগে গোয়ায় এসেছে৷ তাদের ঔদ্ধত্য আর বিলাসবহুল প্রচারে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে৷
এর জবাবে গোয়ায় তৃণমূল ইন-চার্জ মহুয়া মৈত্র দাবি করলেন, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব গোয়ায় জোট গঠনের জন্য সময় চেয়েছিল৷ তিনি একটি টুইটে স্পষ্ট করে লেখেন, ‘প্রথমত, গোয়ায় বিজেপিকে হারাতে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যে কংগ্রেসকে জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে৷ দ্বিতীয়ত, কংগ্রেস নেতৃত্ব জোট গঠনের বিবেচনা করতে সময় চেয়েছিল৷ এটা প্রায় দু'সপ্তাহ আগের ঘটনা৷ তৃতীয়ত, পি চিদম্বরমের হয়ত এই বিষয়ে কিছু জানা নেই৷ এই ধরনের বিবৃতি দেওয়ার আগে তাঁর কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলা উচিত৷’
এর আগে মহুয়া মৈত্র দাবি করেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস একা লড়তে পারবে না৷ তাই বিজেপিকে হারানোর স্বার্থে গোয়ায় এসেছে তৃণমূল। তিনি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসের এবার বোঝা উচিত, যে তারা দেশের সম্রাট নয়৷ ২০১৭ সালে কংগ্রেসকে জিতিয়েছিল গোয়ার মানুষ৷ বিজেপির থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল, কিন্তু তারা সরকার গড়তে পারেনি৷ এবার আমরা সেই এক ঘটনা ঘটতে দিতে পারি না৷’