করোনার তৃতীয় ঢেউতে ক্রমেই নিমজ্জিত হচ্ছে দেশ। তবে গতবারের তুলনায় এবারে রোগের গুরুতর প্রভাব তুলনামূলক ভাবে কম। দৈনিক সংক্রমণের বৃদ্ধিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে। তবে এই করোনা রোগীদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ আইসিইউ-তে ভর্তি হচ্ছেন। এমনই তথ্য মিলছে দেশের সব সরকারি হাসপাতালের ভর্তির রেকর্ড থেকে। এদিকে তথ্য আরও বলছে, যেই রোগীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১০ ভাগের ১ ভাগ রোগীর প্রয়োজন পড়ছে ভেন্টিলেশন সাপোর্টের।
সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তৃতীয় ঢেউতে করোনা আক্রান্তদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক। এদিকে একই কথা বলেন অ্যাপোলো হাসপাতালে ওষুধ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডঃ সুরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। যদিও পরিস্থিতি ততটা খারাপ নয় যতটা আমরা গত বছর দেখেছি। তবে ভারতের মতো দেশে ছোট শতাংশ রোগীর বৃদ্ধিও উল্লেখযোগ্য।’
দেশের রাজধানী দিল্লিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯২ হাজার। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ২.৭ শতাংশ করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি। তাদের মধ্যে মাত্র ০.৭৩ শতাংশ আইসিইউতে ভর্তি। গতবছর দ্বিতীয় ঢেইয়ের সময় প্রায় ২২ শতাংশ সক্রিয় রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিকে শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বাকি দেশেও ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির হার কম। এই আবহে তৃতীয় ঢেউতে এখনও ওমিক্রনের থেকে ডেল্টার উপর বেশি নজর কেন্দ্রের।