মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সংক্রান্তিকে হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব মনে করা হয়। পৌষ মাসে সূর্য যখন ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন মকর সংক্রান্তি পালিত হয়। এ বছর ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি পালিত হবে। মনে করা হয়, এ সময় সূর্য নিজের পুত্র শনির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আবার এ সময় সাধারণত শুক্রের উদয় হয়। তাই এর পর থেকেই সমস্ত ধরণের শুভ কাজের সূচনা হয়। কোষ্ঠিতে সূর্য ও শনির পরিস্থিতি দুষ্প্রভাব বিস্তার করলে, এ দিনে বিশেষ পুজো করে তা ঠিক করা যেতে পারে।
মকর সংক্রান্তির শুভক্ষণ:
পুণ্যকাল মুহূর্ত- সকাল ০৮:০৩:০৭ থেকে ১২:৩০:০০ পর্যন্ত।
মহাপুণ্যকাল মুহূর্ত- সকাল ০৮:০৩:০৭ থেকে ০৮:২৭:০৭ পর্যন্ত।
মকর সংক্রান্তির দিনে সকালে স্নানের পর লাল ফুল ও চাল দিয়ে সূর্যকে জলের অর্ঘ্য দিন। এ সময় সূর্যের বীজমন্ত্র পাঠ করা উচিত। শ্রীমদভাগ্বদের একটি অধ্যায় বা গীতা পাঠ করা উচিত।
পুরাণ অনুযায়ী প্রচলিত ধারণা:
অসুরদের বিরুদ্ধে বিষ্ণুর বিজয় মকর সংক্রান্তি হিসেবে পালিত হয়। মনে করা হয়, এ দিন বিষ্ণু, মর্ত্যলোকে অসুর সংহার করে, তাদের মাথা কেটে মন্দরা পর্বতে পুতে দিয়েছিলেন। তখন থেকেই বিষ্ণুর জয়ের উৎসব হিসেবে মকর সংক্রান্তি পালিত হয়।
দান-পুণ্য ও স্নানের গুরুত্ব:
এ সময় ভক্তরা গঙ্গা বা অন্য কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করেন। পুরাণ অনুযায়ী, এক সময় কৃষ্ণ বলেছিলেন, যে ব্যক্তি মকর সংক্রান্তির দিনে দেহত্যাগ করে, তাঁদের মোক্ষলাভ হয়।
সিদ্ধিপ্রাপ্তির জন্যও দিনটি বিশেষ:
মনে করা হয়, পূর্ব থেকে দক্ষিণগামী সূর্যের রশ্মির দুষ্প্রভাব থাকে। তবে পূর্ব থেকে উত্তরগামী সূর্যের রশ্মির স্বাস্থ্য ও শান্তি বৃদ্ধি করে। এ কারণে এ সময় শান্তি ও সিদ্ধি লাভ করেন সাধু-সন্তরা।
মকর সংক্রান্তির দিন থেকেই ঋতু পরিবর্তন আরম্ভ হয়। এ দিন থেকে বসন্তের আগমনের সূচনা হয়।