সামনেই আসতে চলেছে উনিশে জৈষ্ঠ্য। এই দিন শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান দিবস। লোকনাথ ব্রহ্মচারী খুবই জাগ্রত দেবতা, বাংলার ঘরে ঘরে তাকে পুজো করা হয়। ১৯ শে জৈষ্ঠ্য তার তিরোধান দিবসে বাড়িতে বাড়িতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার চাকলা গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান ছিলেন। ভক্তদের কাছে তিনি লোকনাথ বাবা নামে বহুল প্রচলিত।
ওটা বাংলা তথা পৃথিবী জুড়ে তার ভক্তের সংখ্যা অগণিত। তার পুজোয় কোনও বিশেষ আড়ম্বর এর প্রয়োজন হয় না। খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট হন তিনি। বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর প্রিয় ভোগ হল মিশ্রী। রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়ো না কেন তাকে মন থেকে ডাকলে তিনি অবশ্যই সাড়া দেন।
কথিত আছে যে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে তিনি মহা সমাধি লাভ করেছিলেন। ১৯ শে জৈষ্ঠ্য দুপুর ১১ টা ৪৫ মিনিটে তিনি মহাসমাধি নেন।
এই বছর উনিশে জৈষ্ঠ্য পড়েছে ইংরেজি জুন মাসের ২ তারিখ। তাকে নীল শাপলা, নীল শালুক ফুল, সাদা ফুল ও বেলপাতা দিয়ে পুজো করা হয়। তাঁর প্রধান ফুলই হলো পুজোর জন্য নীল ফুল। আর পুজোয় মিশ্রি ভোগ দিয়ে অবশ্যই সেই প্রসাদ সকলের মধ্যে বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে বিতরণ করবেন।
অনেকেই মনে করে থাকেন বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী শিবের অবতার, তাই প্রতি সোমবার তাঁর পুজো করার প্রথা রয়েছে। তাঁর পুজোয় সাদা মিষ্টির সঙ্গে কালো জামও নিবেদন করা হয় কারণ এটিও তার প্রিয় মিষ্টি।
বর্তমানে চাকলা ভারতের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। সকলেই একবার বাবার দর্শন পাওয়ার জন্য উপস্থিত হয় এখানে। তাঁর আশ্বাস বাণী মানুষের মনে আজও শক্তি যোগায়, আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে , তাই বাবার তিরোধান এর পরও বাংলার ঘরে ঘরে তার আরাধনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং এত প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।