হিন্দু ধর্মে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ বছর আগামী ৫ মে শুক্রবার বৈশাখ মাসের শেষ তিথিতে পূর্ণিমা পড়ছে। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা বুদ্ধ পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। এই দিনে ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে কুর্ম জয়ন্তীও পালিত হচ্ছে। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে দান ও নদীতে স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে ভারতে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে, কিন্তু এই গ্রহনের বিশেষ গুরুত্ব থাকবে না, ভারতে এই গ্রহনের সূতকও বৈধ হবে না।
বৈশাখ পূর্ণিমায় গ্রহের অবস্থান
৫ মে, বুদ্ধ পূর্ণিমার পাশাপাশি, একটি পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণও ঘটছে। এছাড়া গ্রহের অবস্থানও এই দিনটিকে বিশেষ করে তোলে। এই দিনে শনি তার রাশি কুম্ভ রাশিতে থাকবে। শনির তৃতীয় পূর্ণ দৃষ্টি সূর্য, গুরু, রাহু ও বুধের উপর পড়তে চলেছে। গ্রহ অবস্থান, চন্দ্রগ্রহণ ও পূর্ণিমার কারণে দেশ ও বিশ্বে ছোটখাটো ভূমিকম্প ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়তে পারে। বৃহস্পতি গ্রহ মেষ রাশিতে প্রবেশ করেছে। এই রাশিতে সূর্য, রাহু, বুধ আগে থেকেই বিরাজমান। মেষ রাশির অধিপতি মঙ্গল। মেষ রাশিতে গুরু রাহুর সংযোগের কারণে চন্ডাল যোগও তৈরি হচ্ছে।
বৈশাখ পূর্ণিমায় স্নানের বিশেষ গুরুত্ব
হিন্দু ধর্মীয় পুরাণ অনুসারে, বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে দান করার পাশাপাশি পবিত্র নদীতে স্নান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশ্বাস অনুসারে, পবিত্র নদীতে স্নানের পর নদীর তীরে দান করা উচিত। নদীতে স্নান করতে না পারলে। তাই ঘরে বসেই স্নানের জলে গঙ্গার জল মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এর পরে, আপনার বাড়ির চারপাশে বা মন্দিরে দান করুন।
গ্রহন কি?
হিন্দু ধর্মে গ্রহন বিভিন্নভাবে দেখা যায়। বিজ্ঞানের মতে, গ্রহন একটি বিস্ময়কর জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা। পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে আসে এবং এই তিনটি একই রেখায় থাকে তখন গ্রহন ঘটে। গ্রহন নিয়ে অনেক ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে। যখন পৃথিবীর সরাসরি ছায়া চাঁদের উপর পড়ে না, তখন এটি একটি পেনমব্রাল চন্দ্রগ্রহণ বলে বিবেচিত হয়।