মহাভারতের কাহিনি: পুরাকালে মহাভারতে পান্ডবদের যখন হস্তিনাপুর থেকে বনবাসে পাঠানো হয়েছিল, তখন পান্ডবরা বনে যাওয়ার আগে তাদের অস্ত্রশস্ত্র এই শমী গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেছিল৷ তাই হিন্দুধর্মে এই গাছের বিশেষ মাহাত্ত্ব আছে।
অন্যদিকে, শারদীয়া নবরাত্রির দশম দিনে দশেরা পালিত হয়। এই দিনে ভগবান রাম লঙ্কাপতি রাবণকে বধ করেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শ্রী রাম তার স্ত্রী সীতা এবং ভাই লক্ষ্মণ সহ ১৪ বছর বনবাসে ছিলেন। তারপর দুষ্ট, অহংকারী রাবণ, ভগবান শ্রী রামের কুঁড়েঘরে ঋষির ছদ্মবেশে, মা সীতাকে অপহরণ করে এবং তাকে লঙ্কায় নিয়ে যায়।
লঙ্কা আক্রমণ করার আগে, শ্রী রাম শমী গাছের সামনে প্রণাম করেছিলেন এবং তাঁর বিজয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। এরপর শ্রীরাম রাবণকে বধ করেন। তখন থেকেই বিশ্বাস করা হয় যে শুধুমাত্র শমীর পাতা স্পর্শ করলেই মানুষের সমস্ত কষ্ট ও সমস্যা দূর হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে শমী গাছ লাগালে দেবতাদের আশীর্বাদ সর্বদা বজায় থাকে। এর পাশাপাশি শনিদেবের ক্রোধ থেকেও রক্ষা করে শমি গাছ। শমি পাতা বিতরণ করলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। পুরাণে শমী গাছের মহিমা অনেক বলা হয়েছে।
শনি দোষ দূর করে: শমী গাছ শনি গ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে৷ বাড়ির পশ্চিম দিকে এই গাছ লাগানো শুভ৷ এই গাছের ডাল দিয়ে যজ্ঞ করা হয় যা শনি দোষ দূর করতে সক্ষম৷ শনির সাড়েসাতি ও চাইয়া থেকেও মুক্তি দিতে এই গাছ৷
ভগবান শিবের বিশেষ প্রিয় এই গাছের পাতা: শমী গাছের পাতা ভগবান শিবের বিশেষ প্রিয়৷ শমী গাছের পাতা ভোলেনাথকে অর্পণ করলে তিনি খুবই খুশি হন এবং আশীর্বাদ প্রদান করেন৷
গণেশজি প্রসন্ন হন, কাজে বাধা দূর হয়: গণপতি বাপ্পা কে আমরা বিঘ্নহর্তা বলে জানি৷ যেকোনোও কাজ শুরুর আগে আমরা গণেশ ঠাকুরের নাম করে তবে কাজ শুরু করি। এই গণেশ ঠাকুরেরও কিন্তু ভীষন প্রিয় এই গাছের পাতা৷ দুর্বা ঘাসের মত শমী গাছের পাতাও শ্রী গণেশের চরণে নিবেদনকরে যেকোনও ধরনের মনস্কামনা পূর্তি সম্ভব।