২২ শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছে চৈত্র নবরাত্রি। এই সময় হয় দেবী দুর্গার আরাধনা। ইতিহাস অনুযায়ী চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের এই বাসন্তী পুজোই বাঙালির প্রকৃত দুর্গাপুজো। যদিও এখন মানুষ দুর্গা পুজো বলতে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দুর্গাপুজোকেই বোঝেন।
এবার ১১০ বছর পর নবরাত্রিতে এক বিরল সংযোগ হয়েছে। হিন্দু নববর্ষ অনুযায়ী এ বছর রাজা হলেন বুধ এবং মন্ত্রী হলেন শুক্র। এর ফলে সমস্ত রাশির জাতক জাতিকাদের কপালে সৌভাগ্য এবং মায়ের আশীর্বাদ ঝরে পড়বে। সারা বছর ব্যবসায়, শিক্ষা ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি দেখা যাবে। জীবনের ক্ষেত্রে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে।
এবার চৈত্র নবরাত্রি কিন্তু পুরোপুরি ন দিনই চলবে। কোনও তিথির হ্রাস বৃদ্ধি এই বছর হচ্ছে না। অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য মানুষ আদ্যাসক্তির আরাধনা করে। পুরান অনুযায়ী রাজা সুরথ প্রথম বসন্তকালে এই দেবী দুর্গার পুজো আরাধনা শুরু করেছিলেন, যা বর্তমানে বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত।
শরতের আশ্বিন এ যে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল তা শুরু হয়েছিল রামচন্দ্রের হাত ধরে। বাল্মিকী অকালবোধনের ঘটনাটি তার লেখনিতে তুলে ধরেছিলেন আমরা রামায়ণে তার যথাযথ উল্লেখ পেয়ে থাকি। বাঙালি কিন্তু তার নিজস্ব ঐতিহ্যকে ভুলে যায়নি। তাই দুর্গা পুজোর আদিরূপ বাসন্তী পুজোর আয়োজন তারা করে।
অনেকে বলেন আগে রমরম করে বাসন্তী পুজো অনুষ্ঠিত হত। এখন নাকি বাসন্তী পুজোয় ততটাও জৌলুশ নেই। তবে তার একটা অন্যতম কারণ ছিল বসন্ত রোগ। সেই সময় চিকিৎসা ব্যবস্থা এত আধুনিক ছিল না। বসন্ত ঋতুর শেষে গ্রীষ্মের শুরুর এই সময়টায় অনেকেই বসন্ত রোগের শিকার হত। সেই বসন্ত রোগের সঙ্গে লড়াই করবার জন্য, মায়ের আরাধনা করে মায়ের কৃপা প্রার্থনা করা হতো।