শ্রাবণ মাসেক কৃষ্ণপক্ষের একাদশী কামিকা একাদশী নামে প্রসিদ্ধ। একে আবার কামদা একাদশীও বলা হয়। আজ, বুধবার কামিকা একাদশী। মৃগশিরা নক্ষত্রে এই একাদশী থাকছে। এই উপবাসের প্রভাবে ব্যক্তি অজান্তে করা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়। এমনকি এই একাদশী উপবাসের প্রভাবে ব্রহ্মহত্যার পাপ থেকেও মুক্তি পেয়ে যান এবং ধনসম্পদ যুক্ত থাকেন।
কামিকা একাদশী ব্রতকথা
প্রাচীন কালে এক গ্রামে এক ঠাকুর থাকতেন। একদিন কোনও কারণে ওই ঠাকুরের সঙ্গে বেদপাঠী ব্রাহ্মণের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়ে যায়। তর্ক বাড়াবাড়ির পর্যায় পৌঁছয় এবং ঠাকুরের হাতে ব্রাহ্মণের হত্যা হয়। ব্রাহ্মণের মৃত্যুর পর ব্রহ্মহত্যার ভয় ওই ঠাকুরকে চিন্তিত করে তোলে। ঠাকুরের সমস্ত, অর্থ, সম্মান, সম্পত্তি, পুত্র, পরিবার নষ্ট হয়ে যায়। এর পর ঋষিদের কাছ থেকে ব্রহ্মহত্যার পাপ থেকে মুক্তির উপায় জানতে চান তিনি। ঋষিরা তাঁকে শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের কামিকা একাদশীর উপবাস করার পরামর্শ দেন। এর পর ওই একাদশীর উপবাস করে ব্রহ্মহত্যার পাপ থেকে মুক্তি পান ঠাকুর।
কামিকা একাদশীর শুভক্ষণ
একাদশী তিথি শুরু- ৩ অগস্ট, মঙ্গলবার, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে।
একাদশী তিথি সমাপ্ত- ৪ অগস্ট, বুধবার, দুপুর ৩টে ১৭ মিনিটে।
সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ- ৪ অগস্ট, সকাল ৫টা ৪৪ মিনিট থেকে ৫ অগস্ট সকাল ৪টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত।
পারণের সময়- ৫ অগস্ট সকাল ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ২৬ মিনিটের মধ্যে।
কামিকা একাদশীর লাভ
- এই একাদশীর দিনে উপবাস করে বিভিন্ন মিষ্টি, ফল ইত্যাদি দিয়ে বিষ্ণুর পুজো করলে সমস্ত সুখ লাভ করা যায়। জীবনে সংযম ও আধ্যাত্মিকতার বিকাশ হয়।
- যাঁরা এই একাদশীর ব্রত রাখেন, তাঁদের জীবনের সমস্ত অভাব সমাপ্ত হয়। এর প্রভাবে সুখ, সৌভাগ্য, সম্পত্তি, ভূমি ও রত্ন-আভুষণ লাভ করা যায়।
- গৌ দানের সমান পুণ্যফল লাভ করা যায় এই ব্রতর প্রভাবে।
- এই একাদশীকে মোক্ষ দানকারীও বলা হয়। এদিন উপবাস করলে ব্যক্তির অকাল মৃত্যু হয় না। একাদশীর রাতে বিষ্ণুর আগে শুদ্ধ ঘিয়ের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে মোক্ষ লাভ করা যায়।