অনেক সময় ভাষার মাধ্যমে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করা যায় না, তা চোখে প্রকাশ পায়। সমুদ্রশাস্ত্র অনুযায়ী ব্যক্তির চোখ, তাঁর সম্পর্কে নানা অজানা তথ্যের সন্ধান মেলে। চোখের মাধ্যমেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে।
নীল চোখ- নীল চোখের ব্যক্তিরা অধিক চালাক হন। তাই তাঁদের উপর বিশ্বাস না করাই ভালো। কারণ যে কোনও পরিস্থিতিতেই এঁরা নিজের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করে থাকেন। এমনকী স্বার্থসিদ্ধির পর নিজের সঙ্গী-সাথীকেও কঠিন সময় একা ছেড়ে এগিয়ে যেতে পিছপা হন না।
বড় চোখ- বিশ্বস্ত, পরোপকারী ও সহৃদয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এঁরা। এমন ব্যক্তি প্রয়োজনের সময় কাউকে একা ছাড়েন না। অর্থাৎ অন্যের সাহায্যে সর্বদা তৎপর থাকেন।
কটা চোখ- এমন চোখের ব্যক্তিকে স্বার্থপর মনে করা হয়। শুধু নিজেদের নিয়েই চিন্তিত এঁরা। অন্যের জীবনের ভালো-মন্দে এঁরা মাথা ঘামান না। নিজের সমস্যার সমাধানে তৎপর থাকেন।
কোটরাগত চোখ - বসে যাওয়া চোখের অধিকারীরা গভীর জ্ঞান ও চিন্তাভাবনা পোষণ করেন। রহস্যময় জিনিসের প্রতি এঁদের রুচি চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, নিজের মনেও একাধিক রহস্য লুকিয়ে রাখেন তাঁরা।
গোল চোখ - যাঁদের চোখ গোল, তাঁরা বুদ্ধিমান হওয়ার পাশাপাশি দূরদর্শীও হয়ে থাকেন। জীবনের সমস্ত সিদ্ধান্ত এঁরা খুব ভেবেচিন্তে গ্রহণ করেন। তবে যে কোনও বিষয় সহজে বিশ্বাস করেন না।
কালো চোখ - এমন চোখ থাকলে, সেই ব্যক্তিকে অধিক গুণী ও জ্ঞানী মনে করা হয়। এছাড়াও বিশ্বস্ততা ও সততা এঁদের ব্যক্তিত্বে স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।
মধু সমান চোখ- সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী, যে মহিলাদের চোখ মধুর সমান হয়, তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যশালী হন। এঁরা আবার সহৃদয়ও বটে।