জ্যোতিষ শাস্ত্রের অপর একটি শাখা সামুদ্রিক শাস্ত্র শরীর ও বিভিন্ন অঙ্গের আকার, গঠন, রঙ দেখে ব্যক্তির ভবিষ্যৎ, স্বভাব, চরিত্র সম্পর্কে জানতে পারে। চোখ, কান, নাক, মুখের পাশাপাশি ঘাড়ও ব্যক্তি সম্পর্কে অনেক কিছু জানিয়ে থাকে। কোনও জাতকের ঘাড় মোটা, কারও লম্বা, এই আকৃতি দেখে, তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানা যেতে পারে।
সোজা ঘাড়- সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতকদের ঘাড় সোজা, তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হন। এঁদের আত্মসম্মান বোধ প্রখর। সমাজে নিজের পৃথক পরিচয় গড়ে তোলেন এঁরা। কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে শেষ বয়স পর্যন্ত তা পালন করে যান। সোজা ঘাড়ের জাতকরা স্বাধীনতা প্রিয় হন।
লম্বা ও চওড়া সমান হলে- যে জাতকের ঘাড় দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সমান, তাঁরা সত্যবাদী ও আদর্শবাদী হন। সমাজ কল্যাণের জন্য যোগদান করে যান এমন জাতক। হাতে কোনও কাজ নিলে তা পূর্ণ করে ছাড়েন। পরিশ্রমের জোরে নাম ও অর্থ লাভ করেন।
সাধারণের চেয়ে ছোট ঘাড়- এমন ঘাড়ের জাতকরা সরল স্বভাবের হন। কম কথা বলায় অভ্যস্ত এঁরা। শুধু নিজের কাজটুকু করে যান, কারও সাতে-পাঁচে থাকেন না। নম্র স্বভাবর হন। তাঁদের এই স্বভাবই সকলকে এঁদের প্রতি আকৃষ্ট করে। তবে এঁরা জীবনে বহুবার প্রতারিত হয়ে থাকেন।
পাতলা ঘাড়- সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী পাতলা ঘাড়ের জাতকরা অলস প্রকৃতির হন। পাশাপাশি এঁরা কোনও না-কোনও রোগে গ্রস্ত থাকেন। লক্ষ্যের প্রতি এঁদের কোনও একাগ্রতা ও সমর্পণ দেখা যায় না। তবে এঁরা নিজের জীবনে প্র্যাক্টিকাল হন।
সুরাহি বা কুঁজোর মতো ঘাড়- যে জাতকদের ঘাড় কুঁজোর মতো লম্বা ও ফ্লেক্সিবল হন, তাঁরা শিল্প প্রেমী হন। শিল্পকলা সম্পর্কে প্রখর জ্ঞান থাকে এঁদের। পাশাপাশি মানি মাইন্ডেডও হন। এমন ঘাড়ের ব্যক্তি দয়ালু, উদার প্রকৃতির হয়ে থাকেন। মিথ্যা বরদাস্ত করতে পারেন না এঁরা।