সনাতন ধর্মে অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব স্বীকার করা হয়। সমস্ত অমাবস্যার মধ্যে জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যার গুরুত্ব সর্বাধিক। কারণ এই তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ন্যায়দাতা শনি। চলতি বছর ১০ জুন জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যা এবং শনি জয়ন্তী। শনির নাম শুনলেই সকলে ভীত হয়ে পড়েন। গ্রহের রাজা সূর্যের পুত্র শনি তাঁর দৃষ্টি দিয়েই সূর্যকে রোগী বানিয়ে দিয়েছিলেন। শিবের তপস্যার পর এই রোগ থেকে মুক্তি পান সূর্য। বর্তমানে বক্রি শনি স্বরাশি মকরে বিরাজ করছেন। অমাবস্যার দিনে নিজের পিতৃপুরুষদের অর্পিত ভোগ ও তর্পণ নানান সংকট সমাপ্ত করে জীবনে উন্নতির পথ প্রশস্ত করে দেয়।
যে জাতকদের জন্মরাশি মিথুন ও তুলা তাঁদের ওপর শনির আড়াইয়ের প্রভাব রয়েছে। আবার ধনু, মকর ও কুম্ভ রাশির জাতকদের শনির সাড়েসাতির প্রভাবে দিন কাটাতে হচ্ছে। এই জাতকদের পিপ্পলাদ মুনির কাহিনি ও পদ্মপুরাণে বর্ণিত রাজা দশরথের দ্বারা রচিত শনি স্তোত্র পাঠ করা উচিত। মেষ, বৃষ, কন্যা, তুলা, মকর ও কুম্ভ লগ্নের জাতক হলে এদিন অবশ্যই শনি পুজো করা উচিত। পুজো করলে আয়ের ক্ষেত্রে উন্নতি হয় এবং ব্যক্তি নানান রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। পাশাপাশি ঋণ মুক্ত হয় ব্যক্তি। এমনকি বিয়ের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
শনির পুজো করার পর সরষের তেল, কালো তিল, কালো বিউলির ডাল, জুতো ইত্যাদি দান করা উচিত। এ সময় শীতবস্ত্র দান করলে শুভ ফল লাভ করা যায়। শনিকে প্রসন্ন করার জন্য বয়স্ক ব্যক্তি, শ্বশুর-শাশুড়ি, মা-বাবা, সেবকের সম্মান করা উচিত। অশ্বত্থ গাছে সূর্যদয়ের আগে জল অর্পণ করা উচিত। আবার পুজোর সময় শনির মুখ দেখা উচিত নয়, পায়ের দিকে চোখ রাখুন। এ সময় শমি গাছের সেবা করলেও সুফল লাভ করতে পারেন। গণেশ মন্ত্র ও হনুমান চালিসা নিয়মিত সাত বার পাঠ করলে শনি প্রসন্ন হন।