হিন্দু ধর্মের একটি অতি প্রাচীন পার্বণ এই অম্বুবাচী। এই পার্বণ ঘিরে অসমের কামাক্ষ্যা মন্দিরে বিশাল মেলার আয়োজন হয়। এই সময় বিশেষ তন্ত্রও উদযাপিত হয়। মেনে চলা হয় কিছু বিধিনিষেধও। লোকবিশ্বাস মতে, আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন। আর সেই সময়তেই পালন করা হয়ে থাকে অম্বুবাচী।
মঙ্গলবার ২২ জুন পড়ছে অম্বুবাচী। অর্থাৎ, বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ৭ আষাঢ়। দুপুর ২.০৭ মিনিট থেকে অম্বুবাচী শুরু হচ্ছে। টানা তিনদিন ধরে চলবে এই পার্বণ। অম্বুবাচী তিথি শেষ হচ্ছে ২৫ জুন। অর্থাৎ ১০ আষাঢ়। সেদিন রাত ২:৩০ মিনিটে ছাড়ছে অম্বুবাচী। শাস্ত্রমতে অম্বুবাচীর এই ৩ দিন সব ধরনের মাঙ্গলিক এবং শুভকাজ, যেমন বিবাহ, উপনয়ন, অন্নপ্রাশন, গৃহ প্রবেশ, গৃহ আরম্ভ ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। কৃষিকার্য সংক্রান্ত কোনও কাজও এই সময় করা হয় না। তবে চতুর্থ দিন থেকে কোনও বাধা থাকে না। দেবী কামাক্ষ্যা মন্দিরে এই তিথিতে বিশেষ উৎসব পালন করা হয়।
অসমের কামাক্ষ্যার সতী পীঠে অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে বিশেষ পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে, সতীর গর্ভ ও যোনি পড়েছিল কামাক্ষ্যায়। সেই সময় থেকে এই জায়গা পবিত্র সতীপীঠ। এই ৩ দিন সময়ের মধ্যে কামাক্ষ্যা থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত দেবীস্থানে দরজা বন্ধ থাকে। স্পর্শ করার নিয়ম থাকে না দেবীকে। এখানে অম্বুবাচীর সময় বিভিন্ন তন্ত্রের আরাধনা করা হয় বলেও জানা গিয়েছে।