Ambubachi 2024: ২২২ জুন শুরু হচ্ছে অম্বুবাচী, জেনে নিন কামাখ্যা শক্তিপীঠের অনন্য রহস্য

Updated: 21 Jun 2024, 10:00 AM IST Anamika Mitra

Ambubachi 2024: আসামের রাজধানী দিসপুর থেকে সাত কিল... more

1/4ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম শুধুমাত্র কামাখ্যা শক্তিপীঠের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত, দেবীর ৫১ টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি। এখানকার নৈবেদ্য এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিশ্বাসগুলি এই মন্দিরটিকে বিশেষ করে তোলে। মহিলাদের ঋতুস্রাব সংক্রান্ত অনেক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই মন্দিরে মায়ের ঋতুস্রাব পালিত হয়। নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত এই মন্দিরে কোনও দেবী মূর্তি নেই।

2/4আসামের গুয়াহাটির নীলাঞ্চল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা শক্তিপীঠ মন্দিরের উৎপত্তির ইতিহাসও অনন্য। পুরাণ অনুসারে, দেবী সতীর দেহের অঙ্গ, যে যে স্থানে পড়েছিল, তাদের বলা হয় শক্তিপীঠ। দেবী ভাগবতে ১০৮ টি শক্তিপীঠ, দেবী গীতায় ৭২ টি শক্তিপীঠ এবং দেবী পুরাণে ৫১ টি শক্তিপীঠ এর উল্লেখ রয়েছে। কামাখ্যা ১০৮ টি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ১৮ টি মহাশক্তি পীঠগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। এই মন্দিরের উৎপত্তি অষ্টম শতাব্দী থেকে বলা হয়। এই মন্দিরটি বেশ কয়েকবার পুনর্নির্মিত হয়েছে।

3/4পুরাণ অনুসারে, সতীর পিতা প্রজাপতি দক্ষ অনিচ্ছায় তাঁর কন্যাকে ভগবান শিবের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। প্রজাপতি দক্ষ কখনও ভগবান শিবকে অপমান করার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেননি। একবার তিনি একটি যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে শিবকে তাতে আমন্ত্রণ জানাননি। ভগবান শিবের মানা সত্ত্বেও, মা সতী তার পিতা দক্ষর যজ্ঞে বিনা আমন্ত্রণে যান। সেখানে তার স্বামী শিবের অপমান দেখে তিনি ক্রুদ্ধ হন এবং যজ্ঞের আগুনে আত্মাহুতি দেন। এতে ভগবান শিব আহত ও ক্রদ্ধ হন এবং বীরভদ্রকে যজ্ঞ ধ্বংস করতে পাঠান। শোকে পাগল ভগবান শিব মা সতীর মৃতদেহ কোলে নিয়ে তাণ্ডব করতে শুরু করেন। এতে চিন্তিত হয়ে সকল দেবতা ভগবান বিষ্ণুর কাছে আশ্রয়ের জন্য যান। ভগবান বিষ্ণু শিবকে ঠাণ্ডা করতে ও পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতী মার মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করেন। যেখানেই সতী মার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পড়েছিল, সেখানেই শক্তিপীঠ গড়ে উঠেছে। কামাখ্যা শক্তিপীঠে মায়ের যোনি পড়েছিল। (ANI Photo)

4/4 কামাখ্যা মন্দিরের তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশটি সবচেয়ে বড়, এখানে সবাই যেতে পারে না। দ্বিতীয় অংশে মাকে দেখা যায়। এখানে একটি পুকুরের মতো পাথর রয়েছে, যেখান থেকে অবিরাম পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কামাখ্যা মন্দির নিজের মধ্যে অনেক রহস্য ধারণ করে। ধারণা করা হয়, জুন মাসে (আষাঢ়) মায়ের ঋতুস্রাবের কারণে এখানে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদ লাল হয়ে যায়। অম্বুবাচী উৎসব যখন উদযাপন করা হয় যখন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে, তিন দিন পর আবার খোলা হয় দরজা। এই সময় বিশ্বের সমস্ত তান্ত্রিক, যোগী ও সিদ্ধ পুরুষ একত্রিত হয়। বলা হয় যে এই উৎসব তাদের আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য একটি আশীর্বাদ। এটি একটি জনপ্রিয় বিশ্বাস যে দেবী কামাখ্যার ঋতুস্রাব তিন দিন স্থায়ী হয় এবং এই সময়ে কামাখ্যা মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকে। এখানে অম্বুবাচীর পর একটি লাল রঙের ভেজা কাপড় ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। কথিত আছে যে, মা এর যখন তিনদিন মাসিক হয় তখন ভিতরে সাদা রঙের কাপড় বিছিয়ে দেওয়া থাকে। মন্দিরের দরজা খুললে এই কাপড় লাল ও ভেজা থাকে। একে অম্বুবাচী বস্ত্র বলে। (PTI Photo) (PTI06_21_2023_000311B)

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

Ambubachi 2024: ২২২ জুন শুরু হচ্ছে অম্বুবাচী, জেনে নিন কামাখ্যা শক্তিপীঠের অনন্য রহস্য

Ambubachi 2024: আসামের রাজধানী দিসপুর থেকে সাত কিল... more

Latest News

IPL 2025 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি