বাংলার আসল দুর্গাপুজো হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসে বাসন্তী পুজো। 'রামায়ণ' অনুসারে লঙ্কা থেকে সীতাকে উদ্ধারের সময় রামচন্দ্র দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন। তবে সেই সময় চলছিল সূর্যের দক্ষিণায়ণ। সেই সময়কালের পুজো তাই 'অকাল বোধন' হিসাবে খ্যাক। তাই শরতের দুর্গাপুজো অকাল বোধন। আর সূর্যের উত্তরায়ণের সময় চলা বসন্তকালে দেবীর আরাধনাকে 'বাসন্তী' দুর্গাপুজো বলে গণ্য করার রীতি প্রচলিত। পুরাণমতে চন্দ্রবংশীয় রাজা সুরথ প্রচলন করেন বসন্তকালে দেবী দুর্গার পুজো। ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে অন্নপূর্ণা পুজোর সপ্তমী তিথি। আর জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে এই সময় ৪ রাশির জাতক জাতিকারা বিশেষভাবে দেবী দুর্গার কৃপা লাভ করবেন। দেখে নেওয়া যাক, দেবীর কৃপায় অন্নাভাব ও অর্থকষ্ট থেকে দূরে থেকে কোন ৪ রাশির ভাগ্য খুলতে চলেছে।
বৃষ
অন্নপূর্ণা পুজোর সময় খুলে যেতে চলেছে সৌভাগ্যের দ্বার। বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের বহুদিনের অর্থকষ্ট থাকলে তা কেটে যাবে। কর্মক্ষেত্রে সুখবর পেতে থাকবেন। সমস্ত কাজে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ পাবেন এঁরা।
কর্কট
চলছে নবরাত্রি। আর কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের সমস্ত মনোস্কামনা পূর্ণ হবে এই বাসন্তীপুজোয়। বলছে জ্যোতিষ গণনা। বহুদিন ধরে করা বহু পরিশ্রমের ফল এই সময় পাবেন এঁরা। কোনও আইনি জট বহুদিন ধরে ভোগালে তা কেটে যেতে পারে এখন। পাবেন অর্থ।
সিংহ
অর্থলাভের দারুন যোগ রয়েছে অন্নপূর্ণা পুজোয়। দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ দুর্গার কৃপায় সম্পন্ন হবে। পাবেন, পুরনো অসুখ থেকে মুক্তি। চাকরিতে হবে পদোন্নতি।
তুলা
দেবীর কৃপায় তুলা রাশির জাতক জাতিকারও ভাগ্য তুঙ্গে থাকবে। দারুন আর্থিক সাফল্য আসতে থাকবে। স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে থাকবে। জীবনের নানান বাধা বিপত্তি কেটে যাবে।