আষাঢ় অমাবস্যায় প্রদীপ জ্বালানোর এভাবে, চিরকাল আপনার ঘরে থাকবেন মা লক্ষ্মী

আষাঢ় অমাবস্যা দিনটি বিশেষ। এই দিনে পূর্বপুরুষদের জন্য শ্রাদ্ধ তর্পণ পিণ্ডদান ইত্যাদি করা হয়। এছাড়াও, অমাবস্যা দিনে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রচুর উপকার পাওয়া যেতে পারে।

হিন্দু ধর্মে অমাবস্যার তিথি পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। অমাবস্যার দিনে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য স্নান, দান, তর্পণ ইত্যাদি করা হয়। বলা হয় যে অমাবস্যার দিনে করা কাজ পূর্বপুরুষদের আত্মাকে যমরাজের হাত থেকে মুক্তি দেয়। এতে পূর্বপুরুষরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ পান। পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ ভাগ্য পরিবর্তন করে। ঘরে সুখ সমৃদ্ধি লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পায়। মা লক্ষ্মী ঘরে অবস্থান করেন এবং তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।

কী কী রাখবেন?

লাল বই এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে অমাবস্যার কিছু কৌশল বলা হয়েছে। এই কৌশলগুলি ধন লাভের সম্ভাবনা তৈরি করে। দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করার জন্য, আষাঢ় অমাবস্যার দিন একটি ঘি প্রদীপ জ্বালান এবং ঘিতে কিছু জাফরান এবং ২টি লবঙ্গ রাখুন। এইভাবে প্রদীপ জ্বালালে দেবী লক্ষ্মী খুব খুশি হন এবং আর্থিক সমস্যা দূর করেন। এছাড়াও, অমাবস্যার দিন কিছু ব্যবস্থা নিন।

কী কী করবেন এই দিন?

• অমাবস্যার দিনে বিবাহিত মহিলাদের পিপল গাছের পূজা এবং প্রদক্ষিণ করা উচিত, এটি স্বামীর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে। এছাড়াও, পিপল গাছের নীচে একটি প্রদীপ জ্বালান।
• চাকরি বা ব্যবসায় যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে অমাবস্যার দিনে ৯ জন মেয়েকে খাওয়ান। তাদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিন। এতে কাজের বাধা দূর হবে।
• যদি প্রতিপক্ষ এবং শত্রুরা আপনাকে বিরক্ত করে, তাহলে অমাবস্যার রাতে ৫টি লাল ফুল এবং ৫টি জ্বলন্ত প্রদীপ প্রবাহিত নদীতে ভাসিয়ে দিন। এতে প্রতিপক্ষরা পরাজিত হবে।
• আষাঢ় অমাবস্যার দিনে পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ, শ্রাদ্ধ, দান করুন। ব্রাহ্মণদের জন্য ভোজের আয়োজন করুন এবং দরিদ্রদের দান করুন। এছাড়াও, কুকুর, গরু, কাক, পিঁপড়ার জন্য খাবার বের করুন। মাছদের আটার বল খাওয়ান।