হিন্দু ধর্মের নানা পুজোঅর্চনায় গঙ্গাজল প্রয়োজন হয়। এই জল পুজোস্থান ও পুজোর বস্তু পবিত্র করতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গঙ্গাজল তুলে আনা ও সংরক্ষণ করার জন্য অনেকেই প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করে থাকেন। শাস্ত্রমতে, এই ধরনের পাত্রে গঙ্গাজল রাখা শুভ নয় বলে মনে করা হয়। প্লাস্টিককে নানা কারণেই বর্জন করার কথা বলে থাকেন শাস্ত্রজ্ঞরা। কী কী সেই কারণ? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কারণ
গঙ্গাজলকে শুধুমাত্র জল হিসেবে গণ্য করা হয় না, এটিকে দেবী গঙ্গার প্রতিরূপ এবং সর্বোচ্চ পবিত্রতার প্রতীক বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মমতে, পবিত্র বা পুজোর জিনিস রাখার জন্য নির্দিষ্ট কিছু উপকরণ বা ধাতু ব্যবহার করা আবশ্যক।
আরও পড়ুন - সূর্যের খেলায় চমকাবে ভাগ্য! সোনায় সোহাগা ব্যবসায়ীদের, কেরিয়ারে রয়েছে ধামাকা অফার
আরও পড়ুন - কুণ্ডলীতে গ্রহের অশুভ ছায়া? কোনটির জন্য কী দান করা শ্রেয়? জানাচ্ছে ভৃগু সংহিতা
পবিত্রতা নষ্ট: গঙ্গাজলকে সবসময় তামা, পিতল, রূপা বা মাটির মতো প্রাকৃতিক এবং শুভ ধাতব পাত্রে সংরক্ষণ করা উচিত। প্লাস্টিককে ধাতু বা মাটির মতো প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে গণ্য করা হয় না এবং এটিকে সাধারণত অপবিত্র বা অশুদ্ধ বলে মনে করা হয়। তাই প্লাস্টিকের পাত্রে গঙ্গাজল রাখলে এর পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
শক্তি ও কম্পন: প্রাচীন বিশ্বাস অনুসারে, তামার পাত্রে ইতিবাচক শক্তি ও কম্পন ধরে রাখার ক্ষমতা থাকে, যা গঙ্গাজলের আধ্যাত্মিক গুণাগুণকে অক্ষুণ্ণ রাখে। প্লাস্টিক এই ধরনের পবিত্র কম্পন ধারণে সক্ষম নয়।
কোন পাত্রে রাখবেন গঙ্গাজল?
গঙ্গাজল সবসময় ধাতু বা মাটির পাত্রে রাখা উচিত। তামা, পিতল, রূপার পাত্রে গঙ্গাজল রাখলে তা বিশুদ্ধ থাকে। অথবা মাটির পাত্রেও এই জল ধারণ করে রাখা যেতে পারে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।