বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে শনিকে ন্যায়ের দেবতা মনে করা হয়। ভালো কর্ম করলে শুভ ও খারাপ কর্মের জন্য অশুভ প্রভাব দিয়ে থাকে শনি। শনি কোষ্ঠিতে উচ্চ স্থিতিতে থাকলে ব্যক্তি শুভ ফল লাভ করে। আবার শনি কোষ্ঠিতে দুর্বল পরিস্থিতিতে থাকলে জাতককে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে কুম্ভ, ধনু ও মকর রাশির জাতকরা শনির সাড়েসাতিতে পীড়িত। আবার মিথুন ও তুলা রাশির জাতকরা শনির আড়াইয়ের আওতায় রয়েছে। শনির দশা, মহাদশা, অন্তর্দশা থেকে মুক্তি পেতে জ্যোতিষে কিছু উপায় বর্ণ
জ্যোতিষে শনির আশীর্বাদ লাভের সর্বাধিক সরল উপায় হল দান করা। দান-পুণ্যকে উত্তম মনে করা হয়। প্রচলিত আছে দান-পুণ্য করলে ব্যক্তির সৌভাগ্য লাভ করে। শনিবার কালো বিউলি ডাল, সরষের তেল, তিল তেল ও কালো জুতো দান করা উচিত। দরিদ্রদের দান করলে শনি প্রসন্ন হন।
শনির আশীর্বাদ লাভের দ্বিতীয় উপায় হল শনি যন্ত্রের পুজো করা। শনি যন্ত্রের পুজো করলে পরিবারে সুখ-শান্তির আগমন ঘটে। এমনকি শনি সংক্রান্ত দোষও পূর্ণ হয়।
শনিবারের দিনে শনিকে প্রসন্ন করার জন্য শনি মন্ত্র ওম প্রাং প্রীং প্রৌং সঃ শনৈশ্চরায় নমঃ মন্ত্র জপ করা শুভ। মনে করা হয় ১০০৮ বার এই মন্ত্র জপ করলে কষ্ট মুক্তি ঘটে।
শনিকে প্রসন্ন করার জন্য বজরংবলীর বিধি মেনে পুজো করা উচিত। শনি ও বজরংবলীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। বজরংবলীর পুজো করলে শনি প্রসন্ন হন। শনিবার হনুমান চালিসা পাঠের ফলে লাভ হয়।