Shanidev's Anger Remedies: জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, শনিদেবের ক্রোধের মুখে পড়লে জীবন জেরবার হয়ে যেতে পারে। কিন্তু শনিবারে কটি বিশেষ কাজ করলে এই প্রভাব কমতে পারে।
1/5হিন্দু ধর্মে, শনিবার ভগবান শনিদেবকে উৎসর্গ করা হয়। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিদেব মানুষকে তাঁদের কর্ম অনুসারে উপযুক্ত ফল দেন। শনিদেব যদি কারও প্রতি সন্তুষ্ট হন, তাহলে তাঁর জীবনও বদলে যেতে পারে, কিন্তু তিনি যদি কোনও ব্যক্তির উপর রাগান্বিত হন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে ধ্বংস হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে না।
2/5এসব কারণে শনিদেবকে খুশি করার জন্য মানুষ অনেক কিছু করেন। এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে একটি হল শনিবার শনিদেবের প্রতিকার। অনেকেই শনিবার শনি মন্দিরে সরিষার তেল নিবেদন করেন। কিন্তু জানেন কি কেন শুধুমাত্র সরিষার তেল ভগবান শনিকে নিবেদন করা হয়।
3/5ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শনিদেবকে সরিষার তেল নিবেদন করলে শনির ধৈয়া ও সাড়ে সাতীর প্রভাব কম হয়। এর পাশাপাশি শনিদোষও কুণ্ডলীতে কম থাকে। এমনও বিশ্বাস করা হয় যে শনিদেবের মূর্তির সামনে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ব্যক্তি ভাগ্যের সাহায্য লাভ করেন।
4/5কিন্তু এই সরিষার তেল কেন দেওয়া হয়? এর কাহিনিটিও দারুণ। এর সঙ্গে যোগ আছে ভগবান শ্রীহনুমানেরও। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, রামায়ণেক যুগে, লঙ্কাপতি রাবণ তাঁর ক্ষমতার জোরে শনিদেবকে নিজের প্রাসাদে বন্দি করেছিলেন। মা সীতাকে অপহরণের পর, রামের নির্দেশে হনুমান যখন তাঁর সন্ধানে লঙ্কায় পৌঁছোন, তখন তিনি সেখানে শনিদেবকে রাবণের বন্দি অবস্থায় দেখতে পান। শনিদেবের অনুরোধে তিনি তাঁকে রাবণের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে লঙ্কা থেকে বহু দূরে নিক্ষেপ করেন।
5/5শনিদেবকে এভাবে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ায় তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে স্বস্তি দিতে হনুমান তাঁর ক্ষতস্থানে সরিষার তেল লাগান। এতে তিনি যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই উপশম পেয়েছিলেন এবং তিনি হনুমানের প্রতি প্রসন্ন হন। সঙ্কট মোচন হনুমানকে ‘সংকথার্থ’ উপাধি দিয়ে তিনি বর দেন যে, ভবিষ্যতে যদি কোন ভক্ত তাঁকে সরিষার তেল নিবেদন করেন, তিনি সর্বদা আশীর্বাদ পাবেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত শনি ভগবানকে সরিষার তেল দেওয়া হয়।