পদ্মপুরাণ অনুসারে কমলা একাদশীর উপবাস করলে মানুষের সমস্ত পাপ নাশ হয়। এই উপবাসের প্রভাবে পরিবারে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে। যে এই উপবাস করে সে মৃত্যুর পর সে বৈকুণ্ঠধাম লাভ করে।
এই উপবাসের প্রভাবে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পুরো পরিবারের উপর থাকে। কমলা একাদশীর দিন ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর পূজা ও উপবাসের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কমলা একাদশীর দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শুদ্ধ হওয়া উচিত। ধূপ, তুলসী পাতা, কর্পূর, প্রদীপ, ভোগ, ফল, পঞ্চামৃত, ফুল ইত্যাদি দিয়ে ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর পূজা করতে হবে। এই একাদশীর উপবাসে ভগবানের পূজা করে ব্রাহ্মণদের অন্ন দান করার বিধান রয়েছে। তার আগে দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত গম, উড়দ, মুগ, ছোলা, যব, চাল ও মসুর ডাল খাওয়া উচিত নয়।
একাদশীর দিনে ঘুমানো উচিত নয়। কমলা একাদশীর উপবাসের রাতে ঘুমানোর পরিবর্তে ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর ভজন-কীর্তন করা উচিত। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে একাদশীর উপবাস ভাঙতে হবে। উপবাসের পরের দিন দ্বাদশী তিথিতে ভগবান শ্রী হরির আরাধনা করে ব্রাহ্মণকে অন্ন দান করার বিধান বলা হয়েছে। ব্রাহ্মণকে দানের পর নিজে অন্ন গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করতে হবে।