Baba Lokenath Brata: পরিবর্তনের বাংলাদেশ। সেখানেই পালিত হল বিশেষ ব্রত। কেউ কেউ বলেন ‘রাখের উপবাস’, কারও কাছে ‘কার্তিক ব্রত’ বা কারও মতে ‘গোসাইর উপবাস’। একই ব্রতকথার বিভিন্ন নাম। বিভিন্ন ব্যক্তি সেই নামে ডাকেন। কিন্তু উদ্দেশ্য আর ইষ্টদেবতা এক। তিনি লোকনাথ। রোগজ্বরজারি হোক বা বিপদ, এই সব কিছুর থেকে মুক্তি পেতে লোকনাথ বাবার ভক্তরা এই ব্রতটি পালন করে থাকেন। বাংলাদেশে সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে লোকনাথ বাবার ভক্তরা ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বলন’ উৎসব পালন করলেন।
আরও পড়ুন - প্রেম-বিয়ে-সঙ্গম-সন্তানে ‘না’! পুরুষদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের শুরু কীভাবে?
ঢাকার রঘুনাথ জিউর মন্দিরে
ঢাকা শহরের রঘুনাথ জিউর মন্দিরে এই ব্রতানুষ্ঠান উপলক্ষে একত্র হয়েছিল শত শত পূণ্যার্থী। হাজার হাজার প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল মন্দির প্রাঙ্গন। সেই আলোতেই উজ্জল হয়ে ওঠে রঘুনাথ জিউর মন্দির। একইসঙ্গে মন্দির চত্ত্বর মুখরিত হয়েছিল নারীদের সমবেত উলুধ্বনিতে।
আরও পড়ুন - জিমে না গিয়েই ঝরল ১৯ কেজি! মেদ ঝরানোর সময় ৬ ভুল এড়ানোর পরামর্শ এই তরুণীর
ব্রত পালনের রীতি
প্রসঙ্গত এই ব্রত পালন করার বেশ কিছু রীতি রয়েছে। ব্রতের আগের দিন কিছু বিষয়ে সংযম পালন করতে হয়। তারপর উপোস থেকে সন্ধ্যায় ধূপ, দীপ জ্বালিয়ে বসার নিয়ম। এই ব্রত আরাধনায় বসলে প্রদীপ জ্বালানোর পর মৌন হয়ে থাকতে হয়। সংযম, মৌনব্রত পালন করার পর একমনে বাবা লোকনাথকে ডাকতে হয়। এই ভাবে প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জপ চলে। এরপর পাশের কোনও জলাশয় বা পুকরে বাবা লোকনাথের নামে তা ভাসিয়ে দিতে হয়।
বাবার নির্দেশ
বাবা লোকনাথেক ভক্তদের কথায়, রোগ বালাই হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে এই ব্রত না করলেই নয়। প্রিয়জনদের মঙ্গল কামনা করে কার্তিক মাসে এই উপোস পালন করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই দিন আশ্রম প্রাঙ্গণে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো হয়। পাশাপাশি ধূপ-ধুনো জ্বালানো হয়ে থাকে। বলা হয়, স্বয়ং বাবা লোকনাথ এই নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই অন্যান্যবারের মতো এই বারেও সেই রীতি মেনে প্রদীপ ধূপধুনো জ্বালানো হয়েছে।