কালীপুজোর ঠিক পরেই বাঙালি যে উৎসবে মেতে ওঠে, সেটি হল ভাইফোঁটা। ২০২৫ সালে ভাইফোঁটার তারিখ নিয়ে অনেকের মনে ধন্দ রয়েছে। ২২ না ২৩ অক্টোবর ভাইফোঁটা, তা নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভাইফোঁটা ২০২৫-র তিথি ও ফোঁটা দেওয়ার শুভ সময় কখন।
ভাইফোঁটা ২০২৫ তারিখ তথা তিথি
দীপাবলির পরপরই পালিত হয় ভাইফোঁটা। ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা, স্নেহ এবং দৃঢ় বন্ধনের প্রতীক এই উৎসব। রাখি বন্ধনে একজন বোন রাখি বেঁধে তার ভাইকে সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়, তেমনি ভাইফোঁটায় একজন বোন ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি কামনা করে। বিনিময়ে, ভাই তার বোনকে উপহার দিয়ে তার স্নেহ এবং আশীর্বাদ প্রকাশ করে। প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়।
আরও পড়ুন - দীপাবলি ২০২৫-এ কখন অলক্ষী বিদায়ের ক্ষণ? দীপান্বিতা লক্ষীপুজোই বা কখন, জানুন তিথি
আরও পড়ুন - গতি বদলাচ্ছেন শনি ও বৃহস্পতি! দীপাবলির পর সুখের জোয়ার কেরিয়ারে, দাম্পত্যেও সুখবর
ভাইফোঁটা ২০২৫-র শুভ সময়
এই বছর, কার্তিক শুক্লা দ্বিতীয়া তিথি ২২ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে রাত ৮:১৬ মিনিটে শুরু হবে এবং ২৩ অক্টোবর রাত ১০:৪৬ মিনিট পর্যন্ত চলবে। জ্যোতিষশাস্ত্রের নিরিখে, ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা উদযাপনকে সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।
ভাইকে এই দিন ফোঁটা দেওয়ার শুভ সময় হল দুপুর ১টা ১৩ মিনিট থেকে ৩টে ২৮ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে ফোঁটা দেওয়া অত্যন্ত শুভ এবং উপকারী বলে মনে করা হয়।
ভাইফোঁটাের ঐতিহ্য এবং আচার-অনুষ্ঠান
ভাইফোঁটার দিনটি সূর্যোদয়, স্নান এবং পূজার প্রস্তুতির মাধ্যমে শুরু হয়। বোনেরা তাদের ভাইদের জন্য একটি সুন্দর পুজোর থালা সাজিয়ে তাতে ধান, দূর্বা, তিলচন্দন রেখে কপালে ফোঁটা দেয়। পাশপাশি তার দীর্ঘায়ু ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে। এর পরে ভাইয়ের আরতি করা হয় এবং তার সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। আরতির পর, ভাই-বোনেরা একে অপরের সাথে মিষ্টি ভাগাভাগি করে। ভাইয়েরা প্রায়শই তাদের বোনদের পোশাক, মিষ্টি, চকলেট, শুকনো ফল বা ব্যক্তিগতকৃত উপহার দেয়। অনেক জায়গায়, বোনেরা তাদের ভাইদের নারকেলও উপহার দেয়, যা শুভ প্রতীক।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।