স্বামী,সন্তান এবং সমগ্র পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিবাহিত মহিলারা এই পূজা করে থাকেন। রথযাত্রার পর প্রথম মঙ্গল ও শনিবার এই পুজো করার রীতি রয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুর্গা বাটী মন্দির,বর্ধমান কম্পাউন্ডের কালী মন্দির, কোকরের মুক্তেশ্বর ধাম,মা আনন্দময়ী আশ্রম,ডোরান্দার কালী মন্দির ও মেইন রোডের কালী মন্দিরে ভক্তদের ভিড় জমেছে। এসব মন্দিরে মা বিপত্তারিণীর পূজার বিশেষ আয়োজন করা হয়। দুর্গাবতী মন্দিরে ২০০০-এরও বেশি মহিলা মা বিপত্তারিণীর পূজা করেন।
মা বিপত্তারিণী মা কালীর আর এক রূপ। বিপত্তারিণী পূজায়'১৩'সংখ্যাটির একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই পূজায় বরাদসূত্র (রাক্ষসূত্র) বাঁধার প্রথা রয়েছে,যা ১৩টি দোব থেকে প্রস্তুত করা হয়। মহিলারাউপোসকরেন এদিন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সুতো বেঁধে রাখলে স্বামী-সন্তানের উপর আসা সমস্ত বিপদ দূর হয়।
যাঁরা বিবাহে অসুবিধার সম্মুখীন হন,তাঁরাও এই দিনে মা বিপত্তারিণীর আরাধনা করেন তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য। বিপত্তারিণী মন্ত্রভক্তদের সকল প্রকার বিপর্যয় দূর করে।
মা বিপত্তারিণীকে১৩ধরনের ফল,ফুল,মিষ্টি,পান,সুপারি এবং নারকেল নিবেদন করা হয়। সকাল ৬টা থেকে দুর্গাবতী মন্দিরে ভক্তরা ভিড় জমাতে শুরু করেন সারাদিনউপোস রাখার পর সন্ধ্যায়উপোস ভাঙেন মহিলারা।