ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্রে কামধেনু গরুর মূর্তিটির একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। কামধেনু গাভী তার বাছুর সহ যেখানেই বাস করে, সেই গৃহ সুখে পরিপূর্ণ, শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। প্রাচীন কিংবদন্তি অনুসারে কামধেনু কন্যা নন্দিনী মহর্ষি বশিষ্ঠের আশ্রমে বাস করতেন। মা অনুসূয়া তাঁর সেবা করতেন। মহারাজ দিলীপের যখন কোন সন্তান ছিল না, তখন তাঁর উপাচার্য মহর্ষি বশিষ্ঠ নন্দিনী গাভীর সেবা করার পরামর্শ দেন। মহারাজে দিলীপ তার স্ত্রী সহ নন্দিনীর সেবা করেছিলেন এবং তার একটি মহান পুত্র রঘুর জন্ম হয়েছিল। এর ফলে রঘুকুল রাজবংশের জন্ম হয়। যে দিকে বাড়িতে বাস্তু দোষ আছে, সেখানে বাছুরের সঙ্গে গরুর ছবি বা ছবি লাগাতে হবে।
দক্ষিণ-পশ্চিমে (দক্ষিণ-পশ্চিম) বাছুরের সঙ্গে কামধেনু গরুর ছবি বা ছবি রাখলে ঘরের কাজে স্থিতিশীলতা আসে। দক্ষিণ দিকে লাগানো হলে বাড়ির মালিকের প্রভাব বাড়ে। অগ্নিকোণে মা গরুর ছবি বসিয়ে ঘরে খুশি মহিলা সদস্যরা। কামধেনু গরুর ছবি পূর্ব দিকে রাখলে সেখান থেকে দারিদ্র্য দূর হবে। উত্তর-পূর্ব দিকে কামধেনু গরুর ছবি রাখলে সন্তানের সুখ পাওয়া যায়। ভগবানের ধ্যান থাকে এবং ঘরে লক্ষ্মী বাস করেন।
উত্তরে গৌমাতার মূর্তি স্থাপন করলে ধনী কুবেরের অপার কৃপা হয়। ঘর বাঁচিয়ে রাখে। পশ্চিম কোণে কামধেনু গরুর মূর্তি স্থাপন করলে বাড়িতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। আয়ের উৎস ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিম দিকে গরুর মূর্তি স্থাপন করলে প্রতিটি কাজে স্থিতিশীলতা আসে। যদি আপনার বাড়িতে সন্তানের অভাব হয় বা সন্তানরা আপনাকে সম্মান না করে, তাহলে কামধেনু গাভীকে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে রাখুন এবং নিয়মিত প্রার্থনা করুন। বাড়ির সদস্যরা বাড়ির মালিকের কথা না শুনলে মা গরুর ছবি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লাগান। বাড়িতে অর্থ ও খাদ্যশস্যের অভাব হলে উত্তর দিকে কামধেনু গরুর ছবি লাগান। স্বাস্থ্য ভালো না এবং প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন, মা গরুর ছবি দক্ষিণ দিকে রাখুন।
( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক ৷ এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)