এই বছর চৈত্র নবরাত্রি ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ, রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে। নবরাত্রিতে, দেবী ভগবতীর নয়টি রূপ পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পুজো করা হয়। দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা নয় দিন ধরে উপবাসও পালন করেন। নবরাত্রির পুজোয় বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আসুন জেনে নিই নবরাত্রির পুজোর জন্য বাস্তুর গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি।
নবরাত্রির প্রথম দিনে, ঘর সম্পূর্ণ পরিষ্কার করুন। ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং অব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন, কারণ এগুলি নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করে। উপাসনালয় পবিত্র করার জন্য, ধূপ জ্বালান এবং পরিবেশকে সুগন্ধযুক্ত করুন।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকটি পুজোর জন্য সবচেয়ে শুভ বলে বিবেচিত হয়। এই দিকটিকে দেবস্থানও বলা হয়। উত্তর-পূর্ব কোণে মায়ের মূর্তি বা কলস স্থাপন করুন। এই দিকে পুজো করলে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে।
পুজো করার সময় মুখ পূর্ব দিকে রাখা উচিত। পূর্ব দিককে দেবতাদের বাসস্থান বলে মনে করা হয়। এই দিকটি শক্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির উৎস।
কাঠের স্ট্যান্ডে দেবী মার মূর্তি বা ছবি স্থাপন করুন। প্রতিমা বা ছবি স্থাপনের আগে, স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করতে ভুলবেন না। চন্দন কাঠ বা আম কাঠের তৈরি চৌকি সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।
নবরাত্রির সময় অনেক ভক্ত অখণ্ড শিখা প্রজ্জ্বলন করেন। দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এই শিখা জ্বালানো শুভ। অগ্নি দেবতার স্থান হওয়ায়, এই দিকটি ইতিবাচক শক্তি এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে। অনন্ত শিখা জ্বালানোর আগে, সংকল্প নিন এবং রীতি অনুসারে পুজো করুন।
পুজোয় ব্যবহৃত উপকরণ যেমন গুগুল, কর্পূর, লোবান, ঘি ইত্যাদি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখুন। পুজোর জিনিসপত্র লাল কাপড়ে মুড়িয়ে রাখুন। দেবী মার পুজোয় লাল রঙ বিশেষভাবে শুভ বলে বিবেচিত হয়।
দেবী মার পুজোয় বিশেষ ধাতু দিয়ে তৈরি পাত্র ব্যবহার করা উচিত। তামা এবং পিতলের পাত্রগুলিকে সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। সম্ভব হলে, রূপার থালা বা জলের পাত্রও ব্যবহার করুন। মা ভগবতীকে তাজা লাল ফুল অর্পণ করুন।
প্রধান দরজার উভয় পাশে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করুন। দরজায় আম পাতার মালা ঝুলিয়ে দিন। যেখানে কলস বা ঘট স্থাপন করা হয়, সেখানে স্বস্তিক তৈরি করা শুভ। এটি বাস্তু ত্রুটি দূর করে।