পেশাগত জীবনের বাইরেও সংসারের আঙিনায় সাফল্য পাওয়াও বেশ জরুরি। সংসারে কীভাবে সুখ আসতে পারে, তা নিয়েও নীতিবাক্য উঠে আসে আচার্য চাণক্যের পুঁথিতে। কূটনীতি ও অস্ত্রশাস্ত্র ছাড়াও সম্পর্কের খতিয়ান নিয়েও তিনি দিয়েছেন বহু উপদেশ। দেখে নেওয়া যাক চাণক্য নীতি অনুযায়ী একজন স্বামী তখনই ভগ্যবান হিসাবে বিবেচিত হবেন, যদি তাঁর স্ত্রীয়ের মধ্যে ৪ টি বিশেষ গুণ থাকে। দেখে নেওয়া যাক এই বিশেষ গুণগুলি কী কী?
ধার্মিক
নীতি শাস্ত্র অনুযায়ী, স্ত্রী যদি ধার্মিক বা রীতি রেওয়াজ মেনে চলায় অভ্যস্ত হন তাহলে সেই স্ত্রীর স্বামী সুখী হন। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে স্বামীরা ভাগ্যবানও হন। নীতিশাস্ত্র বলছে, ধার্মিক মহিলা ন্যায়-অন্যায় বোধে পটু হন। ফলে গোটা সংসারকে তিনি সঠিক রাস্তা দেখাতে পারেন।
সঞ্চয়ী
যে স্ত্রী সঞ্চয়ী হন, তাঁর স্বামী সবচেয়ে সুখী। বলছে চাণক্যর নীতি শাস্ত্র। কঠিন সময়ের জন্য যদি অর্থ সঞ্চয় করায় মহিলা পটু হন, তাহলে তা সংসারের পক্ষে সুফল দায়ী হয়। ফলে স্বামীর অর্থভাগ্যও থাকে তুঙ্গে। এমন স্ত্রীরা কঠিন পরিস্থিতি থেকে সংসারকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যেতে পারেন।
আচার-ব্যবহার
নীতিশাস্ত্র বলছে, যদি মহিলার আচার, ব্যবহার খুবই ভালো হয়, বা পরিমার্জিত কথা বলেন তিনি, তাহলে তাঁর স্বামী খুবই ভাগ্যবান হন। সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলা মহিলারা যে পরিবারে স্ত্রী হয়ে আসেন,সেই পরিবারের সঙ্গে সকলের সখ্যতা বজায় থাকে। ফলে তার সুফল পান স্বামী।
ধৈর্য
কথায় আছে, 'যে সয় , সে রয়'। সেই নীতিতেই চাণক্যের দিকদর্শন বলছে, যে মহিলারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধৈর্য রাখেন, তাঁরাই সংসারের যুদ্ধে জয়ী হন। ফলে তার সুফল পেতে দেরি হয়না তাঁদের স্বামীদের। কঠিন সময়েও মহিলারা সংসারের হাল ধরে পরিস্থিতিকে আরও সুন্দর করে তোলেন। আর এর দ্বারাই এঁদের স্বামীরা ভাগ্যবান হয়ে ওঠেন।