বাংলা নিউজ > ভাগ্যলিপি > চন্দ্রদোষ ও ঋণ মুক্তি ঘটে শরৎ পূর্ণিমায়, জানুন এই পূর্ণিমার গুরুত্ব

চন্দ্রদোষ ও ঋণ মুক্তি ঘটে শরৎ পূর্ণিমায়, জানুন এই পূর্ণিমার গুরুত্ব

শরৎ পূর্ণিমাকে অন্য সমস্ত পূর্ণিমার মধ্যে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়।

৩০ তারিখে প্রদোষ ব্যাপিনী ও নিশীথ ব্যাপিনী হওয়ায় এদিনের তিথিই পুজোর জন্য উপযুক্ত। আবার এ দিনই অগস্ত্য তারা উদয় হবে ও চাঁদের ১৬ কলা পূর্ণ হয়ে শীতলতা প্রদান করবে।

আগামী ৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) শরৎ পূর্ণিমা ও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। ৩০ তারিখ সন্ধ্যা ৫টা ৪৭ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হলেও শেষ হবে ৩১ অক্টোবর রাত ৮ টা ২১ মিনিটে। কিন্তু ৩০ তারিখে প্রদোষ ব্যাপিনী ও নিশীথ ব্যাপিনী হওয়ায় এদিনের তিথিই পুজোর জন্য উপযুক্ত। আবার এ দিনই অগস্ত্য তারা উদয় হবে ও চাঁদের ১৬ কলা পূর্ণ হয়ে শীতলতা প্রদান করবে। কথিত আছে, এদিন চাঁদ অমৃত বর্ষণ করে। শরৎ পূর্ণিমাকে অন্য সমস্ত পূর্ণিমার মধ্যে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়।

প্রচলিত আছে, এ দিন কৃষ্ণ মহারাস করেছিলেন। দেবী ভাগবত মহাপুরাণ অনুযায়ী, গোপিকাদের অনুরাগ দেখে কৃষ্ণ চন্দ্রকে মহারাসের সংকেত দেন। ফলে চন্দ্র নিজের শীতল রশ্মিতে প্রকৃতিকে আচ্ছাদিত করে দেন। এর পর কৃষ্ণ ও গোপিকাদের অদ্ভূত ভালোবাসা দেখে চন্দ্র অমৃত বর্ষা শুরু করেন। এর ফলে সমস্ত গোপিকা অমরত্ব লাভ করেন ও কৃষ্ণের অমর প্রেমের ভালোবাসার অংশীদার হয়ে পড়েন। আবার গাছপালা, বনস্পতিতে চাঁদের রশ্মি পড়ার ফলে, তাতেও অমরত্ব সঞ্চার হয়। তাই এ দিন পায়েস বানিয়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নীচে রাখার প্রথা প্রচলিত। এর ফলে ওই পায়েসেও অমৃতসম হয়ে ওঠে। সকালে সেই পায়েস প্রসাদ হিসেবে খাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।

আবার শরৎ পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রদোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। কোষ্ঠিতে চাঁদ দুর্বল হলে, আবার মহাদশা, অন্তর্দশা বা প্রত্যন্তদশা চলতে থাকলে অথবা ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ কক্ষে চাঁদ থাকলে চাঁদের পুজো করা উচিত। মুক্ত অথবা স্ফটিক মালার সাহায্যে ‘ওম সোং সোমায়’ মন্ত্র জপ করলে চন্দ্রজনিত দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। উচ্চরক্তচাপ, পেটের গোলযোগ, হৃদরোগ, সর্দি-কাশি, চোখের সমস্যা থাকলে চাঁদের পুজো করলে এই সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার পড়াশোনায় মন না-বসলে চন্দ্র যন্ত্র ধারণ করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। 

অন্যদিকে শরৎ পূর্ণিমা সমস্ত ধরণের ঋণ, রোগ ও দরিদ্রতা থেকে মুক্তি দিতে পারে। বিজয়া দশমীর পর বিষ্ণুর প্রিয় একাদশীর দিনে ব্যক্তির কর্মের ভিত্তিতে তাঁদের পূজা-আরাধনার ফল দেওয়া হয়। যার ফলে পাপে অঙ্কুশ লাগে, তাই একে পাপাঙ্কুশা একাদশী বলা হয়। পাপাঙ্কুশার পর পৃথিবীতে মহালক্ষ্মীর আগমন ঘটে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি সকলকে বর দান করেন। কিন্তু যাঁরা দরজা বন্ধ করে শুয়ে থাকে, সেই গৃহের দরজা থেকেই তিনি ফিরে যান। শাস্ত্রে একে কোজাগর অর্থাৎ কে জেগে আছে ব্রত বলা হয়। এদিন লক্ষ্মী পুজোর ফলে সমস্ত ঋণ থেকে মু্ক্তি পাওয়া যায়, তাই একে ঋণমুক্তি পূর্ণিমাও বলা হয়। এই রাতে শ্রীসুক্ত পাঠ, কনকধারা স্তোত্র, বিষ্ণু সহস্ত্র নাম জপ ও কৃষ্ণের মধুরাষ্টক পাঠ করলে কার্যসিদ্ধিতে সহায়তা লাভ করা যায়। 

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার জন্য মাখানা, বাতাসা, পায়েস, পান ও দইের ভোগ নিবেদন করা যেতে পারে।

ভাগ্যলিপি খবর

Latest News

RR vs DC: পন্তের হাত ধরে ডিআরএস নিতে বাধ্য করলেন কুলদীপ, আউট হলেন বাটলার- ভিডিয়ো শিবসেনায় যোগ দিয়েই একনাথের গুণগান গোবিন্দার, লোকসভায় লড়ছেন নাকি? ‘সাপখোপ বিশেষ…’, উলুপি একা নয়, সৃজিতের মোট ৪টি বল পাইথন আছে, জানালেন মিথিলা রিল লাইফ পুত্রবধূকেই বউমা করতে চান নন্দিনী! শাশুড়ির প্রশংসায় অরুণিমা বললেন কী? RR vs DC: রিয়ান ঝড়ের পর, শেষ ওভারে আবেশের বাজিমাত, পরপর দুই ম্যাচে হার দিল্লির দেশের সবচেয়ে ধনী মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল যোগ দিলেন BJPতে, ছাড়লেন কংগ্রেস টলিউডে অসফল, সেটারই প্রতিশোধ রাজনীতির ময়দানে নিচ্ছেন হিরণ! দাবি দেবের 'অডিশন না নিয়েই বাদ দিয়েছে...' অভিনেত্রী হতে কী কী সহ্য করেছেন আরত্রিকা? প্রসূণের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ খগেনের, নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকল তৃণমূল শনি থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি? শুক্রে কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া? রইল পূর্বাভাস

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.