জ্যোতিষে শনিকে নিষ্ঠুর গ্রহ বলা হয়েছে। শনির অশুভ প্রভাবের কারণে ব্যক্তির জীবনও প্রাভাবিত হয়। জ্যোতিষ মতে, প্রতিটি রাশির জাতকরা কোনও না-কোনও সময় শনির অশুভ প্রভাবের কবলে পড়ে। এ সময় ধনু, মকর ও কুম্ভ রাশির জাতকদের ওপর শনির সাড়েসাতি চলছে। আবার তুলা, মিথুন রাশিতে শনির আড়াই চলছে। এই সমস্ত রাশির জাতকদের এ সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। নিয়মিত শনির পুজো করলে শনির অশুভ প্রভাব হ্রাস করা যায়। দশরথ রচিত শনি স্তোত্র পাঠ করলে শীঘ্র শনি প্রসন্ন হন। পুরাণ অনুযায়ী শনিকে প্রসন্ন করার জন্য দশরথ শনি স্তোস্ত্র রচনা করেছিলেন। এই স্তোত্রে প্রসন্ন হয়েছিলেন শনি।
দশরথ কৃত শনি স্তোত্র
নমঃ কৃষ্ণায় নীলায় শিতিকণ্ঠনিভায় চ।
নমঃ কালাগ্নিরূপায় কৃতান্তায় চ বৈ নমঃ।।
নমো নির্মাংস দেহায় দীর্ঘশ্মশ্রুজটায় চ।
নমো বিশালনেত্রায় শুষ্কোদর ভয়াকৃতে।।
নমঃ পুষ্কলগাত্রায় স্থূলরোম্ণেথ বৈ নমঃ।
নমো দীর্ঘায়ুশুষ্কায় কালদষ্ট্র নমোস্তুতে।।
নমস্তে কোটরাক্ষায় দুর্ণিরীক্ষ্যায় বৈ নমঃ।
নমো ঘোরায় রৌদ্রায় ভীষণায় কপালিনে।।
নমস্তে সর্বভক্ষায় বলীমুখায় নমোস্তুতে।
সূর্যপুত্র নমস্তেস্তু ভাস্করে ভয়দায় চ।।
অধোদৃষ্টে নমস্তেস্তু সংবর্তক নমোস্তুতে।
নমো মন্দগতে তুভ্যং নিরিস্ত্রণায় নমোস্তুতে।।
তপসা দগ্ধদেহায় নিত্যং যোগরতায় চ।
নমো নিত্যং ক্ষুধার্তায় অতৃপ্তায় চ বৈ নমঃ।।
জ্ঞানচক্ষুর্নমস্তেস্তু কশ্যপাত্মজ সূনবে।
তুষ্টো দদাসি বৈ রাজ্যং রুষ্টো হরসি তৎক্ষণাৎ।।
দেবাসুরমনুষ্যাশ্চ সিদ্ধিবিদ্যাধরোরগাঃ।
ত্বয়া বিলোকিতাঃ সর্বে নাশংয়ান্তি সমূলতঃ।।
প্রসাদ কুরু মে দেব বারাহোহমুপাগত।
এবং স্তুতস্তদ সৌরিগ্র্রহরাজো মহাবলঃ।।