হিন্দু পঞ্জিকা মতে বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি মোহিনী একাদশী হিসেবে পালিত হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এদিন বিষ্ণু সমুদ্র মন্থনের সময় উঠে আসা অমৃত কলসকে অসুরদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য মোহিনীর রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই এ দিন বিষ্ণুর মোহিনী স্বরূপের পুজো করা হয়।
মনে করা হয়, মোহিনী একাদশী ব্রত করলে ব্যক্তির পাপস্খলন হয়। এই একাদশীর ব্রতর প্রভাবে ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে বলেও প্রচলিত আছে। চলতি বছর ২৩ মে মোহিনী একাদশী।
মোহিনী একাদশীর গুরুত্ব- বিষ্ণুর মোহিনী স্বরূপের পুজো করলে ভক্তদের পাপ অন্ত হয়। এর পাশাপাশি অবশেষে মোক্ষ লাভের ধারণাও প্রচলিত আছে।
একাদশীর শুভক্ষণ
একাদশী তিথি আরম্ভ- ২২ মে, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে।
একাদশী তিথি সমাপ্ত- ২৩ মে, সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে।
ব্রতভঙ্গের সময়- ২৪ মে সকাল ৫টা ২৬ মিনিট থেকে ৮টা ১০ মিনিট পর্মোহিনী একাদশী ব্রতকথা
পুরাণ অনুযায়ী সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত কলসও বেরিয়ে ছিল। অমৃত লাভের ইচ্ছায় দেবতা ও অসুরদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে যায়। কে প্রথমে অমৃত পান করবে তা নিয়ে এই শুরু হওয়ার এই বিবাদ ক্রমশ যুদ্ধের পরিস্থিতি উৎপন্ন করে। তখনই মোহিনী নামক এক সুন্দর অপ্সরার রূপ ধরে আবির্ভূত হন বিষ্ণু। দেবতা ও অসুরদের সমান ভাগে অমৃত পান করিয়ে দেওয়ার নাম করে, সমস্ত অমৃত দেবতাদের পান করিয়ে দেন। এর ফলে দেবতা অমর হয়ে যান। মনে করা হয়, যে দিন বিষ্ণু মোহিনী রূপ ধারণ করে, সেদিন ছিল বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথি। তাই এই দিনটিকে মোহিনী একাদশী বলা হয়। যন্ত।