শাস্ত্রে একাদশী ব্রতের বিশেষ গুরুত্ব স্বীকার করা হয়েছে। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিকে বিজয়া একাদশী বলা হয়। এদিন বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর নিয়ম মেনে পুজো করা হয়ে থাকে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, বিজয়া একাদশীর ব্রত করলে সাফল্য লাভ করা যায়। চলতি বছর কবে বিজয়া একাদশী জেনে নিন—
বিজয়া একাদশীর শুভক্ষণ
চলতি বছর ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ দু'দিন বিজয়া একাদশী পালিত হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে একাদশী তিথি শুরু হবে। শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ১২ মিনিটে। ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ১১ মিনিট থেকে ১২টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত পুজোর শুভক্ষণ থাকবে।
ব্রত ভঙ্গের সময়
২৬ ফেব্রুয়ারি যাঁরা একাদশীর উপবাস করবেন, তাঁরা ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৪৩ মিনিট থেকে ৪টা ০১ মিনিটের মধ্যে ব্রত ভঙ্গ করতে পারেন। আবার যাঁরা ২৭ ফেব্রুয়ারি উপবাস করবেন, তাঁরা ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা ৪৮ মিনিট থেকে ৯টা ০৬ মিনিটের মধ্যে ব্রত ভঙ্গ করবেন।
একাদশীর মাহাত্ম্য
পদ্ম পুরাণ অনুযায়ী, স্বয়ং মহাদেব নারদকে উপদেশ দেন যে, একাদশী মহান পুণ্যদায়ী ব্রত। যে মনুষ্য একাদশী ব্রত পালন করেন, তাঁদের পিতৃ ও পূর্বপুরুষ কুযোনি ত্যাগ করে স্বর্গ লোকে প্রস্থান করেন।
একাদশীর পুজোর নিয়ম
- এদিন সকালে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরে নিতে হবে। তার পর ব্রতর সংকল্প নিন।
- ঠাকুর ঘরে পুজোর বেদি তৈরি করুন ও তাতে বিউলি, মুগ, গম, ছোলা, যব, চাল ও বাজরা রাখুন।
- বেদির ওপর একটি ঘট স্থাপন করুন। এবার এতে আম বা অশোকের পাতা রাখুন।
- এবার বেদির ওপর বিষ্ণুর মূর্তি অথবা ছবি রাখুন।
- এর পর বিষ্ণুকে হলুদ ফুল, মরশুমী ফল ও তুলসী পাতা সমর্পিত করুন।
- তারপর ধূপ ও প্রদীপ দিয়ে বিষ্ণুর আরতী করুন।
- সন্ধ্যায় বিষ্ণুর আরতীর পর ফলাহার গ্রহণ করুন।
- একাদশীর রাতে ঘুমাবেন না, এদিন ভজন-কীর্তন করে রাত্রি জাগরণ করুন।
- পরের দিন সকালে কোনও ব্রাহ্মণকে ভোজন করান ও যথা যোগ্য দান-দক্ষিণা দিন।