রুদ্রাক্ষ শিবের অত্যন্ত প্রিয়। রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি ও স্বরূপ সম্পর্কে শিব পার্বতীকেও কিছু কথা জানিয়েছিলেন।
হাজার বছরের সাধনার পর শিব যখন প্রথমবার চোখ খোলেন, তখন তাঁর চোখ দিয়ে জলবিন্দু পৃথিবীতে পড়ে। সেই জলবিন্দু দিয়েই একটি গাছের উৎপত্তি হয়। এই গাছই রুদ্রাক্ষ নামে প্রসিদ্ধ।
রুদ্রাক্ষ শান্তিদায়ক, মুক্তিদায়ক, পুণ্যবর্ধক ও কল্যাণকারী। মহাদেব পার্বতীকে রুদ্রাক্ষের অদ্ভুত শক্তি সম্পর্কে জানান। পাশাপাশি এ-ও বলেন, যে ব্যক্তি রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন, তাঁরা তাঁর অত্যন্ত প্রিয় ও তাঁদের সমস্ত মনস্কামনা শিবের বরে পূর্ণ হয়।
রুদ্রাক্ষ কারা ধারণ করতে পারেন:
কুষ্ঠির গ্রহগতির উপরে নির্ভর করে রুদ্রাক্ষ ধারণের নিদান। তবে কুষ্ঠি বিচার না করেও রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে জানা দরকার জাতকের প্রয়োজন।
রুদ্রাক্ষ নানান ধরণের হয়, তবে এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। নিজের গ্রহের বিচার সম্পর্কে সবিস্তারে জানা না-থাকলে সর্বার্থসিদ্ধির জন্য এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যেতে পারে।
রুদ্রাক্ষের প্রকারভেদ:
- একমুখী রুদ্রাক্ষ শিবরূপ হয়।
- দু-মুখী রুদ্রাক্ষ আবার শিব-পার্বতী স্বরূপ।
- ত্রিদেব স্বরূপ হয় তিনমুখী রুদ্রাক্ষ।
- চারমুখী রুদ্রাক্ষ ব্রহ্মস্বরূপ।
- পঞ্চমুখ শিবরূপ হয় পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ।
- ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ হয় স্বামীকার্তিক রূপ।
- কামদেবস্বরূপ হয় সাতমুখী রুদ্রাক্ষ।
- নয়মুখী রুদ্রাক্ষ কপিল মুনি ও নবদুর্গা রূপ হয়।
- এগারোমুখী আবার একাদশ রুদ্ররূপ হয়।
- বারোমুখী রুদ্রাক্ষ হয় দ্বাদশ আদিত্য রূপ।
- তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ হয় বিশ্বরূপ।
- চৌদ্দমুখী পরমঋণী রূপ হয়।
ছোট রুদ্রাক্ষকে শুভ মনে করা হয়। রুদ্রাক্ষে প্রাকৃতিক ভাবে ছিদ্র থাকলে, তা শ্রেষ্ঠ গুণ সম্পন্ন। শ্রাবণ মাসে রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে উত্তম ফল পাওয়া যায়।