প্রত্যেক রুদ্রাক্ষ নিজের নিজের ঘাড়ী দ্বারা চিহ্নিত হয়ে থাকে এবং তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব সৃষ্টি করে। বিধি পূর্বক শুদ্ধ করে ধারণ করার রুদ্রাক্ষ দৈহিক, দৈবিক, ভৌতিক সমস্ত প্রকার ক্লেশ নিবারণ করে থাকে। এর ক্ষমতা রত্নের থেকেও অধিক হয়ে থাকে বলে মনে করা হয়। রুদ্রাক্ষ বিকিরণ প্রভাব এবং স্পর্শ শক্তি দ্বারা অদ্ভুৎ চমৎকার ফল লাভ হয়।
রুদ্রাক্ষের শক্তির পরিচয়-
একমুখী রুদ্রাক্ষ পরাতত্ত্বের প্রকাশক।
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ কে অর্ধনারীশ্বর রূপে গণ্য করা হয়।
ত্রি মুখী রুদ্রাক্ষ কে তিনটি অগ্নির রূপ বলে মানা হয়ে থাকে।
চতুর্মুখী রুদ্রাক্ষ কে পিতামহ ব্রহ্মের স্বরূপ বলে মনে করা হয়।
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ কে পঞ্চব্রহ্ম স্বরূপ বলা হয়।
ষষ্ঠ মুখী রুদ্রাক্ষ কে সাক্ষাৎ কার্তিকের দেব রূপ বলা হয়।
সপ্ত মুখী রুদ্রাক্ষ কে সূর্য এবং সপ্ত ঋষির ক্ষমতাপ্রাপ্ত বলে মনে করা হয়ে থাকে।
অষ্ট মুখী রুদ্রাক্ষ কে অষ্ঠমাতার স্বরূপ বলে মনে করা হয়।
নয়মুখী রুদ্রাক্ষ কে কালভৈরব ও যমরাজের প্রতিরূপ বলা হয়ে থাকে।
দশমুখী রুদ্রাক্ষের স্বামী দশদিক এবং ভগবান বিষ্ণুর দশ রূপ কে অভিহিত করে।
এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ স্বয়ং রুদ্রের প্রকাশ। দেবরাজ ইন্দ্র কে এই রুদ্রাক্ষের স্বামী বলে মনে করা হয়।
বারোমুখী রুদ্রাক্ষ কে শনি দেবের স্বরূপ বলা হয়।
শারীরিক, মানসিক অশান্তি দূর করার অদ্ভুত ক্ষমতা এই সকল রুদ্রাক্ষের মধ্যে নিহিত আছে।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার
যোগাযোগ: 8777679776