ধনতেরাস থেকে পাঁচদিন ব্যাপী দীপাবলি উৎসবের সূচনা। সারা দেশে ধনতেরাস থেকে শুরু করে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পর্যন্ত চলে এই আলোর উত্সব। চলতি বছর ৪ নভেম্বর পালিত হবে দীপাবলি।
তবে কেন দীপাবলি পালিত হয়, তার সঙ্গে পুরাণের নানান গল্প জড়িত রয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রচলিত কাহিনি হল ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের অযোধ্যা ফেরার কাহিনি। এ ছাড়াও মহাভারতেও দীপাবলি পালনের উল্লেখ পাওয়া যায়। দীপাবলির সঙ্গে জড়িত কাহিনিগুলি জেনে নিন এখানে -
১. রামায়ণে বর্ণিত আছে যে, বিজয়া দশমী বা দশেরার দিনে রাবণ বধ করে দীপাবলিতেই অযোধ্যায় ফেরেন রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ। তাঁদের স্বাগত জানাতেই অযোধ্যাকে আলোকালায় সাজিয়ে তোলা হয়। ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে প্রদীপ। ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে, রাবণ বধ করে সীতা ও লক্ষ্মণ-সহ রাম যখন ঘরে ফেরেন তখন আলোর উত্সবে মেতে উঠেছিলেন আনন্দে আত্মহারা অযোধ্যাবাসী। উল্লেখ্য, ত্রেতা যুগে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে রাবণ বধ করেছিলেন রাম। এর প্রায় ২০ দিন পর অযোধ্যায় ফেরেন তাঁরা।
২, রামায়ণের পাশাপাশি মহাভারতেও দীপাবলি পালনের উল্লেখ রয়েছে। ভূদেবী ও বরাহর পুত্র নরকাসুর স্বর্গ ও মর্ত্য দখল করে অত্যাচার চালাতে শুরু করে। তাঁর প্রাসাদে বন্দি ছিলেন ১৬,০০০ নারী। স্বর্গ ও মর্ত্যবাসীকে নরকাসুরের অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে, তাকে বধ করেন কৃষ্ণ। এর পর তার প্রাসাদে বন্দি ১৬,০০০ নারীকে উদ্ধার করে, তাঁদের সবাইকেই বিয়ে করে নেন কৃষ্ণ। তবে কৃষ্ণের কাছে নিজের মৃত্যুর দিনটি ধূমধামে পালিত হওয়ার বর চান নরকাসুর। প্রচলিত আছে, দীপাবলিতেই নরকাসুরকে বধ করেছিলেন কৃষ্ণ। তাই নরকাসুরে কামনা পূরণের উদ্দেশে ধূমধামের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব।
আবার মহাভারতেরই অন্য এক প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, ১২ বছর বনবাস ও ১ বছরের অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে দীপাবলিতেই হস্তিনাপুরে ফেরেন পাণ্ডবরা। দ্রৌপদী ও পঞ্চপাণ্ডবকে স্বাগত জানাতে আলোয় সাজানো হয়েছিল হস্তিনাপুরকে।
৩. আবার রামায়ণ ও মহাভারত ছাড়া, জৈন ধর্ম অনুযায়ী, দীপাবলিতেই নির্বাণ লাভ করেছিলেন মহাবীর।