দীপাবলি আলো এবং আনন্দের উৎসব। সকলেই এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলি উদযাপিত হয়। এই বছর দীপাবলি ২০শে অক্টোবর। এই দিনে মা কালীর পুজো করা হয়। আবার অনেকে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান গণেশের পুজো করে থাকেন। বলা হয়, দীপাবলিতে কিছু বাস্তু প্রতিকার করলে ঘরের বাস্তুদোষ দূর হয়। দেবী লক্ষ্মী ঘরে আসেন এবং তাঁর আশীর্বাদে সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
দীপাবলিতে করুন এই সহজ বাস্তু প্রতিকার
১. দীপাবলির দিন সকালে ঘর পরিষ্কার করার পর, কাঁচা দুধ, জাফরান, হলুদ এবং গঙ্গা জল দিয়ে আম পাতা ছিটিয়ে দিন। মনে রাখবেন টয়লেটে এই জিনিসগুলি ছিটিয়ে দেবেন না। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
২. দীপাবলিতে, বিজোড় সংখ্যক পাতা সহ গাঁদা, আম এবং অশোক পাতার মালা ঝুলিয়ে দিন। আপনার বাড়ি বা অফিসের অগ্নি কোণে ছয়টি ঘি প্রদীপ জ্বালান। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে দেবী লক্ষ্মীর কৃপায় ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল আসে।
আরও পড়ুন - প্লাস্টিক বোতল বা জারে গঙ্গাজল রাখা কি শুভ? কোন ধরনের পাত্র সবচেয়ে পবিত্র
আরও পড়ুন - সূর্যের নক্ষত্রে শুক্রের গোচর! ৫ রাশির জীবনে সুখের বন্যা, প্রেমেও ধামাকা
৩. দীপাবলিতে পূর্বপুরুষদের জন্য কিছু শস্য, দুধ এবং মিষ্টি দান করা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে দেবী লক্ষ্মী বাড়িতে স্থায়ীভাবে বাস করেন।
৪. দীপাবলির দিন সন্ধ্যায় শিব মন্দিরে শিবলিঙ্গে ঘি প্রদীপ জ্বালানো পিতৃদোষ নিরাময়ে উপকারী বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং ঘরে দেবী লক্ষ্মীর আগমন ঘটে।
৫. দীপাবলিতে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য, লবণ দিয়ে ঘরের মেঝে মুছতে হবে। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।