ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ফাল্গুন পূর্ণিমার দিনে হোলিকা দহন উৎসব পালিত হয়। এবার হোলিকা দহন হবে ৭ মার্চ, ২০২৩ তারিখে। অন্যদিকে, হোলি পালিত হবে পরের দিন ৮ মার্চ। তন্ত্র-মন্ত্র অনুসারে হোলিকা দহনের দিনটিকে অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে এই রাতে গৃহীত ব্যবস্থা খুব তাড়াতাড়ি ফল দেয়। এই রাতে গৃহীত ব্যবস্থা আপনার সমস্ত ঝামেলা দূর করতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, হোলিকা দহনের দিন গৃহীত ব্যবস্থাগুলি শীঘ্রই সফলতা এনে দেয়।
হোলিকা দহনের দিন একটি চৌকিতে একটি সাদা কাপড় বিছিয়ে তার উপর মুগ, ছোলার ডাল, চাল, গম, মসুর, কালো উড়দ অর্থাত্ খোসা সমেত বিউলীর ডাল এবং তিলের স্তূপ তৈরি করুন। এর উপর নবগ্রহ যন্ত্র স্থাপন করুন। যন্ত্রে জাফরানের অর্থাত্ কেশরের তিলক লাগান এবং ঘি এর প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। এর পরে, স্ফটিকের জপমালা দিয়ে নবগ্রহ মন্ত্র জপ করুন। এই প্রতিকার করলে ব্যক্তির কুণ্ডলীতে নব গ্রহ শান্ত থাকে।
সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে হোলিকা দহনের রাতে শ্রী হনুমান কে সিঁদুর ও জুঁই এর তেল অর্পণ করুন। শ্রী হনুমানকে ছোলা নিবেদনের পর ২১ টি বট পাতার মালা অর্পণ করুন। জাফরান বা হলুদ দিয়ে বট পাতায় শ্রী রাম লিখুন। এরপর শ্রী হনুমান এর সামনে খাঁটি ঘি এর প্রদীপ জ্বালান। শ্রী হনুমান এর কাছে প্রার্থনা করুন সমস্ত ঝামেলা শেষ করার জন্য। এই প্রতিকার করলে আপনি কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।
লক্ষ্মীকে খুশি করার উপায়
মা লক্ষ্মীকে খুশি করতে হোলিকা দহনের রাতে অশ্বথ্থ গাছের নিচে খাঁটি ঘি এর প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরে প্রবেশের জন্য প্রার্থনা করুন। এর পর অশ্বথ্থ গাছে জাফরান ছিটিয়ে ঘরে ফিরে যান। খুব শীঘ্রই এর সুফল পাবেন।
পিতৃ দোষ দূর করার প্রতিকার
জন্মকুণ্ডলীতে উপস্থিত পিতৃদোষ দূর করতে হোলিকা দহনের রাতে সামান্য প্রতিকার করলে এর অশুভ প্রভাব কমে যায়। হোলিকা দহনের রাতে রান্নাঘরে যে স্থানে পানীয় জল রাখা আছে সেখানে একটি বিশুদ্ধ ঘি এর প্রদীপ জ্বালান। এর পরে পিতৃদেবতার কাছে প্রার্থনা করুন। এতে পিতৃ দোষের অশুভ প্রভাব কমে যায় এবং পিতৃপুরুষরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন।