গণেশ চতুর্থী গণেশ জন্মোৎসব হিসেবে পালিত হয়। ভাদ্রপদের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে গণেশের জন্ম হয়। গণেশ পুজোয় দূর্বা ও মোদক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। জানুন, দূর্বা ও মোদক গণেশের প্রিয় কেন।
একটি পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী, একদা ঋষি অত্রি গণেশকে ভোজনের জন্য আমন্ত্রিত করেন। ঋষি অত্রির স্ত্রী অনুসূয়া আহার পরিবেশন করলে, গণেশ ভোজন শুরু করেন। কিন্তু তাঁর ক্ষুধা নিবৃত্তি হচ্ছে না-দেখে অনুসূয়া চিন্তিত হয়ে পড়েন। বাড়িতে কোনও অতিথি এলে তাঁকে অতৃপ্ত অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নেই। তখন অনুসূয়া ভাবেন, এবার গণেশকে খাওয়ার জন্য কিছু মিষ্টি দেওয়া উচিত। সে সময় অনুসূয়া তাঁকে মোদক খেতে দেন। মোদক খেয়ে গণেশের মন ও পেট দুই-ই ভরে যায় ও তিনি প্রসন্ন হন।
এমনই আর একটি গল্প প্রচলিত আছে। পার্বতী গণেশকে লাড্ডু খেতে দিলে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে পড়েন। মনে করা হয়, লাড্ডুও গণেশের অত্যন্ত প্রিয়। যাঁরা গণেশকে মোদক ও লাড্ডুর ভোগ দেন, গণেশ তাঁর সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন।
গণেশ পুজোর সময় তাঁকে ২১টি দূর্বার গাঁঠ অর্পণ করা হয়। মনে করা হয়, এমন করলে গণেশ খুব শীঘ্র প্রসন্ন হন। প্রচলিত গল্প অনুযায়ী, অগলাসুর নামক এক রাক্ষস ছিল, তার প্রকোপে সব স্থানে হাহাকার লেগে থাকত। তখই সকলে মিলে গণেশের সামনে প্রার্থনা করলে, গণেশ তাঁকে গিলে নেন। কিন্তু এর পর তাঁর পেটে জ্বালা ধরতে শুরু করে। তখন ঋষি কশ্যপ তাঁকে ২১টি দূর্বা ঘাসের গাঁঠ বানিয়ে খেতে দেন। এর ফলে তাঁর পেটের জ্বালা শান্ত হয়। তখন থেকেই গণেশকে দূর্বা অর্পণ করার প্রথা শুরু হয়েছে বলে প্রচলিত রয়েছে।