প্রাচীন ভারতের অন্যতম মহান পণ্ডিত আচার্য চাণক্যের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজবিজ্ঞানের উপর উপস্থাপিত নীতিগুলি আজকের সময়েও উপকারী বলে বিবেচিত হয়। চাণক্যের নীতি আজও প্রাসঙ্গিক। বলা হয় যে, যদি কোনও ব্যক্তি চাণক্য নীতিতে দেওয়া পরামর্শ এবং বিষয়গুলি তার জীবনে গ্রহণ করে, তাহলে তার পুরো জীবন বদলে যাবে। এমন ব্যক্তি কখনও সমস্যায় পড়বে না। চাণক্যের নীতি অনুসারে আমরা জেনে নেব কোন তিনজন ব্যাক্তির সঙ্গে আমাদের কখনই শত্রুতা করা উচিত নয়।
বন্ধু এবং শত্রু সনাক্তকরণ
চাণক্য নীতিতে কিছু বিশেষ সূত্র দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রকৃত বন্ধু এবং শত্রুকে শনাক্ত করতে পারে। চাণক্য এমন তিনজনের কথা উল্লেখ করেছেন যাদের সঙ্গে শত্রুতা না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমন তিনজন আছেন যাদের সঙ্গে শত্রুতা জীবনে বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। আসুন আমরা সেই তিনজনের সম্পর্কে জেনে নিই।
ধনী ব্যক্তি
চাণক্য নীতি অনুসারে, ধনী ব্যক্তির সঙ্গে শত্রুতা করা উচিত নয়। এই ধরনের ব্যক্তি তার সম্পদের জোরে যে কারোরই ক্ষতি করতে পারে। একজন ধনী ব্যক্তিকে নিজের শত্রু বানানোর অর্থ নিজের ক্ষতি করা। এমন পরিস্থিতিতে, এই লোকদের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ হওয়া উচিত নয়, সময় বিশেষে এড়িয়ে চলা উচিত।
শক্তিশালী মানুষ
আচার্য চাণক্যের মতে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তির সঙ্গে কখনও লড়াই করা উচিত নয়। এই ধরণের ব্যক্তির সঙ্গে যুদ্ধ বা শত্রুতা করলে, অনেক ধরণের ক্ষতি হতে পারে। এই ধরনের মানুষ তাদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য যেকোনও কিছু করতে পারে। একই সঙ্গে, যদি কোনও ব্যক্তি সম্পদ এবং ক্ষমতা উভয় দিক থেকেই শ্রেষ্ঠ হয়, তবে তার সঙ্গে কখনও শত্রুতা করা উচিত নয়। এটা করার অর্থ নিজের পায়ে কুড়ল মারার মতো অনেকটা।
শাসক ব্যক্তি
আচার্য চাণক্যের মতে, রাজা এবং শাসকের সঙ্গে শত্রুতা করা উচিত নয়। আজকের সময়ের কথা বলতে গেলে, কোনও রাজনীতিবিদ, কোনও প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা ক্ষমতায় থাকা কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে শত্রুতা করা উচিত নয়। এই ধরনের মানুষদের সঙ্গে সামান্য মতবিরোধ হলে, প্রভাবশালি হওয়ার কারণে তাঁদের আপনার বড় ক্ষতি করার ক্ষমতা থাকে। চাণক্যের এই নীতিগুলি জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে, কেউ নিজেকে নিরাপদ এবং সফল করতে পারে।