Excessive yawning reasons: অতিরিক্ত হাই ওঠা মানে যে শুধু ঘুম পেয়েছে, তা নাও হতে পারে। এর পিছনে থাকতে পারে অন্য কারণও।
1/10হাই ওঠা খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা। শরীর ক্লান্ত থাকলে, ঘুম পেয়ে গেলে, এমনকী অন্যকে হাই তুলতে দেখলেও হাই উঠতে পারে। কিন্তু এর বাইরে এমন কিছু কারণ থাকতে পারে, যেগুলির কারণেও অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। কী করে বুঝবেন সেগুলি? দেখে নিন তেমনই ৫টি কারণ।
2/10কেন হাই ওঠে? সাধারণত ক্লান্তি থেকেই হাই ওঠে। পেট এবং হার্টের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগকারী ভেগাস স্নায়ুর প্রভাবেই হাই ওঠে। দিনে ৫-১০ বার হাই ওঠাটা স্বাভাবিক। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এটি ১০০ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
3/10দিনে ৩০-৪০টার বেশি হাই উঠলেই সতর্ক হওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া ভালো, কোনও শারীরিক সমস্যার কারণেও হাই উঠছে। কী কী সমস্যা এর জন্য দায়ী হতে পারে? দেখে নেওয়া যাক।
4/10দীর্ঘ দিনের লিভার সিরোসিসের মতো কারণেও হাই উঠতে পারে। এমনকী এটি মৃগী জাতীয় রোগের পূর্ব লক্ষণও হতে পারে। সেটি চিকিৎসকরা নানা ধরনের পরীক্ষার পরে বলতে পারবেন। তাই বেশি হাই উঠলে, তাঁদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি ৫টি কারণ দেখে নেওয়া যাক, যেগুলি হাই ওঠার পিছনে থাকতে পারে।
5/10ঘুম কম: এটিই হাই ওটার সবচেয়ে বড় কারণ। ঘুম কম হলে, শরীরের ক্লান্তি কাটে না। আর তার ফলেই হাই উঠতে থাকে। ভালো করে ঘুমোলে এই সমস্যা অনেকটাই কেটে যায়।
6/10নার্ভের সমস্যা: নার্ভ বা স্নায়ুর সমস্যা থেকেও বেশি হাই উঠতে পারে। এমনকী হাই ওঠা দেখে সন্দেহও করা যেতে পারে পার্কিনসনস বা নার্ভের অন্য জটিল সমস্যা হচ্ছে কি না।
7/10শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে: কারও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলেও হাই উঠতে পারে। এই সমস্যা কাটাতে গরম চা বা কফি খাওয়া যেতে পারে। তাতেই যদি সমস্যা কমে, তাহলে বুঝতে হবে, এটি শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেই হচ্ছিল।
8/10স্লিপ অ্যাপনিয়া: যাঁরা এই সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ভালো করে ঘুম হয় না। যদিও সেই সমস্যা তাঁরা টের পান না। কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হাই ওঠা দেখে সেটি আন্দাজ করা যেতে পারে।
9/10নার্কোলেপসি: এই সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রে রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও দিনে ঘুম পেতে থাকে। এমন সমস্যায় ভুগলে দিনের বেলা বিশেষ করে দুপুরের দিকে প্রবল হাই ওঠে।
10/10ইনসমনিয়া: যাঁরা এই সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের রাতে ঘুম আসে না। কখনও ভালো করে ঘুম হয় না। কিন্তু সারা দিন হাই উঠতে থাকে এবং শরীরের ক্লান্তি কাটে না।