গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব আমাদের শরীর ও মনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। শরীরে গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্ত উপাদান উপস্থিত থাকে। গ্রহ-নক্ষত্রের শুভ-অশুভ ফল সেই সমস্ত উপাদানকেই প্রাভাবিত করে। যেমন- চন্দ্র প্রাভাবিত করে জলকে, যার ফলে আমাদের মন চঞ্চল অথবা শান্ত থাকে। এ ভাবে প্রত্যেকটি গ্রহ নিজের নিজের উপাদানকে প্রভাবিত করে। নির্দিষ্ট গ্রহের জন্য নির্দিষ্ট কিছু আহার করলে, গ্রহের অশুভ ফল কাটিয়ে ওঠা যায়। এখানে জানুন, গ্রহের অশুভ ফল কাটানোর জন্য কোন ধরণের আহার গ্রহণ করা উচিত।
১) সূর্য- সূর্যের অশুভ প্রভাব কাটিয়ে, তাঁর আশীর্বাদ লাভের জন্য আহারে গম, আম, গুড় ইত্যাদি যুক্ত করা উচিত।
২) চন্দ্র- চাঁদের আনুকূল্য লাভের জন্য ইক্ষু, চিনি, দুধ-দুগ্ধজাত দ্রব্য, আইসক্রিম ও মিষ্টি খাওয়া উচিত।
৩) মঙ্গল- গুড়, মুসুর ডাল, বেদানা, জব, মধু খেলে মঙ্গলের অশুভ প্রভাব কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।
৪) বুধ- এই গ্রহ আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঞ্চালন করে। যদি কুষ্ঠিতে বুধ অশুভ ফল দিয়ে থাকে, তা হলে মটর, জোয়ার, কুলত্থ কলাই, সবুজ ডাল, মুগ, সবুজ সবজি আহারে যুক্ত করা উচিত।
৫) বৃহস্পতি- ছোলা, ছোলার ডাল, বেসন, ভুট্টা, কলা, হলুদ, সন্ধৈব লবণ, হলুদ ডাল ও ফল নিজের আহারে যুক্ত করলে বৃহস্পতির আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
৬) শুক্র- ত্রিফলা, দারুচিনি, পদ্মবীজ, মিশ্রী, মূলো, সাদা শালগম খেলে শুক্রের অশুভ প্রভাব কাটিয়ে ওঠা যায়।
৭) শনি- শনির আনুকূল্যের জন্য আহারে তিল, বিউলি ডাল, গোলমরিচ, বাদাম তেল, আচার, লবঙ্গ, তেজপাতা, বিটলবণের ব্যবহার করা উচিত।
৮) রাহু ও কেতু- বিউলি ডাল, তিল, সরষের ব্যবহার করলে রাহু-কেতুর পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অন্যান্য উপায়—রবিবার ছোলা, সোমবার পায়েস বা দুধ, মঙ্গলবার হালুয়া, বুধবার সবুজ শাক-সবজি, বৃহস্পতিবার ছোলার ডাল অথবা বেসন, শুক্রবার মিষ্টি দই, শনিবার বিউলি ডাল খেলে গ্রহের অশুভ প্রভাব কাটানো সম্ভব।