ভগবান গণেশ হলেন বিঘ্ন বিনাশক। তাঁর কৃপায় দূর হয় দারিদ্র, তাছাড়াও ঘরে ভগবান গণেশের মূর্তি রাখলে নানা ভাবে উপকার লাভ করা যায়। তিনি দেবী দুর্গার বড় আদরের সন্তান। তাই দেবীর আর এক নাম 'গণেশ জননী'। কিন্তু খুব কম জায়গাতেই দেবীর এই রূপের পুজো হয়। যে সব অঞ্চলে দেবীর 'গণেশ জননী' রূপের আরাধনা করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হল শান্তিপুর কাঁসাড়িপাড়া। এই পুজোর এক বিশেষ রীতি আছে, স্থানীয় বিশ্বাস অনুসারে সন্তান কামনার্থে এই রীতি মানা হয়।
রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায় নামে জনৈতক নেটিজেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানেই এই বিশেষ রীতি উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে ‘গণেশ জননী’র কোল থেকে ছোট্ট শিশু স্বরূপ গণেশকে বিবাহিতা নারীদের কোলে দেওয়া হচ্ছে। একেবারে বাড়ির খুদে সদস্যর মতোই তাঁর যত্ন নিচ্ছেন বাড়ির মহিলারা।
আরও পড়ুন: স্বপ্নে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখলে তা কীসের ইঙ্গিত দেয় জানেন? দেখে নিন
ভিডিয়োটি পোস্ট করে ওই ব্যক্তি এই বিশেষ রীতি বিষয়ে লেখেন, ‘শান্তিপুর কাঁসাড়িপাড়া অঞ্চলে পাঁচদিন ব্যাপী গণেশ জননী মাতার পুজোর শেষ দিনের একটি বিশেষ নিয়ম আছে। এই নিয়ম অনুসারে বাড়ির বউদের সন্তান কামনার্থে গণেশ জননী মায়ের কোলে যে ছোট্ট শিশু স্বরূপ গণেশ থাকেন, তাঁকে বাড়ির সব বউদের কোলে দেওয়া হয়। ছোট্ট গণেশ প্রভু হয়ে ওঠেন সক্কলের কোলের ছেলে।’
আসলে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারেও ঘরে ভগবান গণেশের মূর্তি রাখা ভালো। তাঁর নানা মূর্তি রয়েছে। এক একটি মূর্তি এক এক রকমের ফল দেয়। তবে কেবল মূর্তি ঘরে রাখলেই তো হল না, তা রাখারও নির্দিষ্ট দিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চেই মালামাল এই ৩ রাশির! বুধের বক্রী চালে হাতে আসতে পারে টাকা!
বাস্তুবিদদের মতে, ঘরের উত্তর, পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব দিকে গণেশের মূর্তি রাখলে তা বেশ ফলদায়ক হতে পারে। তবে উত্তর দিকে মুখ করে গণেশের মূর্তি রাখলে সেটাই বেশি ভালো। বাড়ির মূল প্রবেশ দ্বারের দিকে মুখ করেও রাখতে পারেন গণেশের মূর্তি। তবে মনে রাখবেন দক্ষিণ দিকে মুখ করে কখনই গণেশ মূর্তি রাখা যাবে না। এতে কিন্তু বিপদ হতে পারে। গণেশ বুদ্ধির প্রতীক তাই পড়ার টেবিলে রাখতে পারেন গণেশ মূর্তি, এতে পড়াশুনোয় মনোযোগ বাড়ে।