গণেশ পূজার জন্য অনেকেই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। মহারাষ্ট্রে এই গণেশ পূজার উদযাপন অনেকটা অন্যরকমের। প্রতি বছর ১০ দিন ধরে উদযাপিত এই উৎসব। ১০ দিনের গণেশ উত্সব প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে শুরু হয় এবং চতুর্দশী তিথিতে শেষ হয়। চতুর্থীর দিন, গণেশের মূর্তি স্থাপন করা হয়। মুম্বইতে বড় বড় প্যান্ডেলে হয়, বিরাট বিরাট গণেশের মূর্তি আনা হয় সেখানে। জেনে নিন এই বছর গণেশ চতুর্থী কবে এবং কখন, গণেশ মূর্তি কখন বিসর্জন করা যাবে, সবটা দেখে নিন।
গণেশ পূজার শুরু কবে?
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি ৬ সেপ্টেম্বর, বিকেল ০৩:০১ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং পরের দিন অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ০৫:৩৭ মিনিটে শেষ হবে। তাই ৭ সেপ্টেম্বর ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপণ করা যাবে এবং ১৭ সেপ্টেম্বর অনন্ত চতুর্দশীর দিন গণপতি বাপ্পাকে বিদায় জানানো হবে। অর্থাৎ এই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর গণপতি বিসর্জনের দিন।
আরও পড়ুন: মানি প্ল্যান্ট লাগানোর সময় এই ভুল ভুলেও করবেন না! তাতে লাভের বদলে ক্ষতিই হবে
ভগবান গণেশকে স্থাপন করার শুভ মুহুর্ত
এই বছর, ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপন করার সবচেয়ে শুভ সময় হল ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১:১০ টা থেকে ০১:৩৯ টা পর্যন্ত, প্রায় ২ ঘন্টা ২৯ মিনিট এই শুভ সময় স্থায়ী হবে। এ সময় পূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপন করা যাবে।
গণেশ পূজা কেন ১০ দিন ধরে করা হয়?
এখন প্রশ্ন হল কেন এই ১০ দিন ধরে গণেশ পূজা করা হয়? আসলে পুরাণ অনুসারে, ভগবান মহাদেব ও মাতা পার্বতী পুত্র গণেশ ভাদ্র মাসের শুক্লা গণেশ চতুর্থীর দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই এই মাসের চতুর্থীতে ভগবান গণেশকে পূজা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাড়িতে লাগান এই ৫ টি গাছ! হাতে আসবে টাকা! সুখে ভরবে ঘর
ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের গণেশ চতুর্থী খুব বিশেষ কারণ মহর্ষি বেদব্যাস, ভগবান গণেশকে মহাভারত রচনা করার জন্য এই দিনই আহ্বান জানিয়েছিলেন। কথিত আছে, বেদব্যাস শ্লোকগুলি পাঠ করতে থাকেন এবং ভগবান ১০ দিন ধরে মহাভারত লেখেন। গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে লেখা শুরু হয়ে অনন্ত চতুর্দশীর দিন পর্যন্ত চলে। ১০ দিন ধরে বসে লেখার কারণে গণেশের উপর ধুলোর স্তর জমে যায়। তারপর ১০ দিন পর অর্থাৎ অনন্ত চতুর্দশীতে তিনি সরস্বতী নদীতে স্নান করে গায়ের ধুলো পরিষ্কার করেন। তারপর থেকেই এই ১০ দিন গণেশ পূজা ও তারপর বিসর্জনের রীতি চলে আসছে।