আগামিকাল দোল পূর্ণিমা যা বিশেষ শুভ তিথি, এই তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন নিমাই মহাপ্রভু। এই সময় চৈতন্য ভূমিতে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয় মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি উদযাপনের জন্য। এই দিন সন্ধ্যায় মায়াপুর ইসকন এবং নবদ্বীপে শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মস্থান ও ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় মহা অভিষেকের উৎসব।
ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দির শ্রী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর সেবিত মন্দির, এখানে অনুষ্ঠিত হয় মহাপ্রভুর শুভ অন্নপ্রাশন এর উৎসব। প্রতিবছরই ধামেশ্বর মহাপ্রভুর মন্দিরে ৫৬ রকমের সবজি ও ৫৬ রকমের মিষ্টি দিয়ে ভোগের আয়োজন করা হয়। ধর্মমতে মান্যতা রয়েছে যে দোল পূর্ণিমার দিন সন্ধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহাপ্রভু নিমাই।
অন্নপ্রাশনের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান শুরু হয় দুপুরের পর থেকে অর্থাৎ বিকেলের দিকে। এই দিন মহাপ্রভুকে অন্ন ব্যঞ্জন পরিবেশন করা হয় মহামূল্যবান পাত্রে। সেখানে থাকে সাপ পিতল এবং রুপোর বাসন। পদের মধ্যে থাকে অন্ন পরমান্ন পুষ্পান্ন মিষ্টি তরকারি নিমকি চাটনিসহ একাধিক পদের সমাহার।
এপ্রিলের মাঝামাঝিতে মঙ্গলের নক্ষত্র পদ পরিবর্তন, ৩ রাশির ফিরতে চলেছে সুসময়
চন্দ্রগ্রহণ ও শনির শশ যোগের সংযোগে ৩ রাশির বিনিয়োগে লাভ, আর্থিক অবস্থাও হবে দৃঢ়
ঐদিন সন্ধ্যায় হয় মহাপ্রসাদ বিতরণ। অবদূতের স্নান পর্বের সঙ্গে ১৪ মাদল পরিক্রমার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি উদযাপনের এই উৎসব। অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন মায়াপুর ইসকন মন্দিরেও হয়। এখানে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্ত গণ আসেন এবং প্রভুর মূর্তিতে জল পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে অভিষেক করেন।
অন্নপ্রাশন এর উৎসব সূচনা কবে হয়েছিল তার নির্দিষ্ট কোনও সময় জানা যায়নি। তবে শোনা যায় মহাপ্রভুর সেবায়েত শচীনন্দন গোস্বামীর সময় থেকে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে জাঁকজমকপূর্ণভাবে। বর্তমানে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর উত্তরাধিকারী সেবায়ত গণের পরিবারই এই উৎসবের আয়োজন করে আসছেন।
হোলিতে বিরল গ্রহ সংযোগে অর্থভাগ্য উজ্জ্বল, কেরিয়ারে সফলতা, লাকি কোন ৪ রাশি !
৪৮ ঘণ্টা পর হোলিতে গজকেশরী যোগ, ৫ রাশিতে টাকার ভাগ্যে ফোয়ারা! কী বলছে জ্য়োতিষমত?
শ্রী মহাপ্রভুর জীবন কালেই মূলত বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী বংশী বদন ঠাকুরের সহায়তায় নবদ্বীপে নিযোগ গৃহে নির্মাণ করেছিলেন শ্রী মহাপ্রভুর বিগ্রহ। এই দিন সেই বিগ্রহেরই পুজো হয়। প্রথমে হয় নামকরণ তারপরে হয় চূড়াকরণের অনুষ্ঠান। এই নামকরণের অনুষ্ঠান হয় প্রতীকী ভাবে। মহাপ্রভুর ছোটবেলায় তার দাদা মশাই নাম রেখেছিলেন বিশ্বম্ভর। প্রতিকী নামকরণ এর অনুষ্ঠান করা হয় তারপরে সবশেষে হয় ভোগ নিবেদন।